Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রক্তক্ষরণ ছাড়াই হবে যুদ্ধ!

soldier never sleepsযুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারায় অসংখ্য মানুষ। ২০০৫ সালে নিউইয়র্ক টাইমসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিলো যেখানে বলা হয়েছিলো রোবট সৈন্য তৈরির পরিকল্পনা করছে পেন্টাগন। কারণ এতে করে প্রাণ বাঁচবে হাজারো মানুষের।

মানুষের এই কাজ যদি রোবট করতে পারে তবে সেটা সবার জন্যই ভালো। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক আইজ্যাক আসিমোভ এর ফার্স্ট ল অফ রোবোটিকস এ বলা হয়েছিলো যে রোবট মানুষকে কখনো আক্রমণ করবে না। তবে পাল্টে যাচ্ছে ধারণা। এবার রোবট তৈরি হচ্ছে মানুষ হত্যার জন্যই। যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষ হত্যা যে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।

chardike-ad

যদিও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এমন রোবট তৈরির বিরোধীতা করছে। তবুও এমন রোবট তৈরি করেই চলছে বেশ কিছু দেশ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে বোধহয় দক্ষিণ কোরিয়া। দ্য সুপার এগিস নামে তারা একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র তৈরি করেছে যার কাছে রয়েছে ভারী অস্ত্র। এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবেই গুলি চালাতে সক্ষম এই রোবট।

তবে এই রোবটটি চালু করতে একজন অপারেটরকে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। রোবটের উৎপাদনকারী কোম্পানি ডুডাম প্রধান প্রকৌশলী জানান, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো এমন একটি যন্ত্র তৈরি যা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই গুলি ছুড়তে পারবে। এতে করে আপনার বাড়ি কিংবা দোকানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।’

২০১০ সালে প্রথম প্রকাশ করা হয় এই দ্য সুপার এগিস এর। কোম্পানির দাবি উদ্বোধনের পর এখন পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি রোবট বিক্রি করেছেন তারা। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যেও তাদের এই রোবটের ব্যবহার হচ্ছে বলেও জানানো হয়।

বিগত ১৫ বছর ধরেই এই শিল্পে অনেক কাজ করে আসছে বিজ্ঞানীরা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ স্থানে তাদের এমন নিরাপত্তা রক্ষী প্রয়োজন যে কখনো ঘুমাবে না কিংবা ক্লান্ত হয়ে পড়বে না। সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি তো নেই। ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ক্ষেত্রের এক-তৃতীয়াংশ ইয়ারক্র্যাফট এবং স্থলের বাহনগুলো রোবট দিয়ে পরিবর্তন করার আদেশ দেয় কংগ্রেস। একবছর পরেই ইরাকে শতাধিক মোবাইল রোবট পাঠানো হয় যারা যুদ্ধের সময় সাহায্য করেছে।

ভবিষ্যতে হয়তো কাল্পনিক ‘রোবোকপের’ মত সৈন্য দেখা গেলেও তাই অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। জার্মান দার্শনিক থমাস মেতসিংগার বলেন, ‘রোবটগুলোর জন্য আর ভবিষ্যত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। তারা এসে গেছে। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে আমরা কি কাজে তাদের ব্যবহার করবো।’