সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবীর আল আইন রোডে আল খাজনাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ বাংলাদেশির লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
ইতোমধ্যে ডেথ সার্টিফিকেটের প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহত ফরহাদের বড় ভাই আবুধাবী প্রবাসী মুহাম্মদ এরশাদ। গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার সময় তারা আল আইন মরুর হতে এই ক্লিয়ারেন্স লেটার পান। ডেথ সার্টিফিকেট সাবমিট করে লেবার ও ইমিগ্রেশন হতে তাদের ভিসা ক্যানসেল করতে হবে। কিন্তু শুক্র ও শনিবার সরকারি বন্ধ হওয়ায় রবিবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
নিহত ফরহাদের বড় ভাই এরশাদ বলেন, কোরবানির ঈদের পরে দেশে আসার কথা ছিল ফরহাদের এবং দেশে তার বিয়ের কথাবার্তা হচ্ছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সে চলে গেল না ফেরার দেশে।
অন্যদিকে নিহত ইলিয়াছের কোন আত্মীয় স্বজন এখনও কেউ হাসপাতাল মর্গে আসেনি। নিহত ফরহাদের বড় ভাই এরশাদ বলেন, আমিরাতে এবং দেশে নিহত ইলিয়াছের খবর দেওয়ার জন্য অনেকের কাছে ফোন করেছি কিন্তু কেউ আসেনি। তবে ইলিয়াছের ডেথ সার্টিফিকেট নেওয়ার সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন এরশাদ। ইলিয়াছের কোন আত্মীয় স্বজন না আসায় কর্তৃপক্ষ এরশাদকে নিহত ইলিয়াছের ডেথ সার্টিফিকেট দেয়নি। নিহত ইলিয়াছের এক ভাগ্নি জামাই মুহাম্মদ নাছির আবুধাবীতে আলম সুপার মার্কেটে কাজ করেন। নাছিরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে নাছির জানান, তিনি ইলিয়াছের মৃত্যুর খবর কারও কাছে শোনতে পাননি।
তবে তিনি আগামী রবিরার আল আইন মরুরে যাবে। সেখানে মামা শ্বশুরের ডেথ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট গ্রহণ করবে। বাকি কাজ সম্পন্ন করে তাকে দেশে পাঠানো পর্যন্ত তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
নিহত তিনজনের আগামী রবিবার ক্যানসেলেশনের কাজ সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরের লাশ গ্রহণের ডেস্কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলার মুহাম্মদ আরমান উল্লাহ চৌধুরী। তবে নিহতদের লাশ কবে নাগাদ দেশে পৌঁছতে পারে সেই প্রশ্নের জবাবে দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলার আরমান উল্লাহ চৌধুরী জানান, সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে বিমানের সিডিউল এবং বোকিংয়ের উপর। বিমানের সিডিউল দ্রুত পাওয়া গেলে তাদের লাশ দেশে পাঠানো সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
রবিবার নিহতদের ক্যানসেল লেটার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব কাজ সম্পন্ন করা হবে। নিহতদের লাশ দ্রুত দেশে পাঠাতে প্রয়োজনে শুক্রবার ও শনিবার বন্ধের দিনেও কাজ করতে এবং স্বজনদের সহযোগিতা করতে দূতাবাস প্রস্তুত রয়েছে। অন্যদিকে আহত সাইফুল ও বেলালকে দেখতে আল আইন জিমি হাসপাতালে গিয়েছেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার আমিরাতে স্থানীয় সময় সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন, মুহাম্মদ ফরহাদ, (২৮), মুহাম্মদ ইলিয়াছ (৪৫) ও মুহাম্মদ আকতার হোসেন (৪০)। নিহতরা আল আইন জিমি হাসপাতালের মর্গে রয়েছেন।