Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শান্তিতে নোবেল পেল তিউনেশিয়ার ন্যাশনাল ডায়লগ কোয়ার্টেট

শান্তিতে নোবেল পেয়েছে তিউনেশিয়ার ন্যাশনাল ডায়লগ কোয়ার্টেট। বহুদলীয় গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে তিউনিসিয়ার জাতীয় সংলাপে মধ্যস্থতাকারী চার সংগঠনকেই বলা হচ্ছে তিউনেশিয়ান ন্যাশনাল ডাইলগ কোয়ার্টেট। এই চার সংগঠনই পাচ্ছে নোবেল পুরস্কার।

নরওয়ের নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান কাচি কুলমান ফাইভ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করেন।

chardike-ad
তিউনিসিযার পুরস্কারপ্রাপ্ত চার সংগঠনের প্রধান
তিউনিসিযার পুরস্কারপ্রাপ্ত চার সংগঠনের প্রধান

এই চার সংগঠন হলো- তিউনিসিয়ান জেনারেল লেবার ইউনিয়ন (ইউজিআইটি); দি তিউনিসিয়ান কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি, ট্রেড অ্যান্ড হ্যান্ডিক্র্যাফটস (ইউটিআইসিএ); তিউনিসিয়ান হিউম্যান রাইটস লিগ (এলটিডিএইচ) এবং তিউনিসিয়ান অর্ডার অব ল’ইয়ারস।

নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর তিউনিসিয়াকে একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধান ভূমিকা রাখে এই সংগঠন চতুষ্টয়।

এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নে ২০৫ জন ব্যক্তি ও ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের নাম আসে, যাদের মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলার আঙ্গেলা মের্কেল, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, পোপ পোপ ফ্রান্সিস, কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মাকোয়েজ ও রাশিয়ার সংবাদপত্র নভোয়া গেজেটার নামও ছিল।

শিশু ও তরুণদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে গতবছর শান্তিতে নোবেল পান তালেবান হামলায় বেঁচে যাওয়া পাকিস্তানি কিশোরী মালালা ইউসুফজাই এবং ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থী।

পুরস্কার বাবদ একটি সোনার মেডেল ও ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার) পাবেন চলতি বছরের বিজয়ীরা। আগামী ১০ ডিসেম্বর অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে এ পুরস্কার।

এই সংগঠনটির সহযোগিতায় দেশটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আছে। পুরস্কার ঘোষণা করে নোবেল কমিটি বলেছে গণতন্ত্র নির্মাণে সংগঠনটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে।
গৌরবজনক এই পুরস্কারের জন্য দুইশ ৭৩ জনের তালিকা করা হয়। জার্মান চেন্সেচর এঞ্জেলা মার্কেল এবং পোপ ফানসিসের নামও এই তালিকায় ছিল।