রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড এগ্রিকালচার টেকনোলজির (আইইউবিএটি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ইসলামী পোশাক পরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য হাইকোর্টে একটি রিট মামলাও দায়ের করা হয়েছে। ইসলামি পোশাক নিষেধ করায় সংবিধান ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করা হয়েছে বলে জানান রিটকারীর আইনজীবী।
রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলার শিক্ষা অফিসার, আইইউবিএটির ভিসি ও রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রানা পারভেজসহ ৭ শিক্ষার্থীদের পক্ষে রোববার রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাফর আলী।
এই আইনজীবী বলেন আবেদনে শিক্ষার্থীরা যাতে ইসলামি পোশাক (পাজামা, পাঞ্জাবি, রোরখা, হিজাব) পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব কাজে অংশগ্রহণ করতে পারে তার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ড্রেসকোডের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর থেকে বোরখা, নেকাব, পাঞ্জাবি, পায়জামা, টুপি, পাগড়ী পরিহিতবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের ভার্সিটিতে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।
প্রসঙ্গত, আইইউবিএটিতে ইসলামিক পোশাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করছে শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে গত ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটে মানববন্ধন করেন। এছাড়া গত ২৯ অক্টোবর শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ধর্মীয় পোশাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করার দাবিতে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ইসলামি পোশাকের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। পাঞ্জাবি টুপিওয়ালা বা বোরখায় আবৃত নারীদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, উপাচার্য ড. এম আলিমুল্লাহ মিয়ানের নির্দেশে এ কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সব প্রতিষ্ঠান সাধারণত যাবতীয় নিয়ম কানুন ভর্তির সময় জানিয়ে দেয়। কিন্তু আইএইবিএটি হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় অনেক শিক্ষার্থীর কাছে তা মানা সম্ভব নয়। কারণ অনেক শিক্ষার্থী জন্মগতভাবেই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন। তাদের দাবি, হঠাৎ করে কোনো প্রতিষ্ঠান পোশাক নিয়ে এমন কঠোরতা দেখাতে পারেন না। এমনটি করতে চাইলে অবশ্যই সুষ্পষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। এর আগে গত ২১ মার্চ ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে আইইউবিএটি’র ভিসি বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়, তাতে উল্লেখ করা হয় শিক্ষার্থীদের যেন ধর্মীয় পোশাক পরিধানে বাধা দেয়া না হয়।