Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঠাকুরগাঁওয়ের সবজি যাচ্ছে বিদেশে

vegetablesঠাকুরগাঁও জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এবার আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। চাহিদার পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এদিকে, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখানকার উৎপাদিত সবজি যাচ্ছে বিদেশে। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ ও আমেরিকায় এ সবজি রফতানি হচ্ছে।

জানা যায়, বর্ষার পর ভাদ্র-আশ্বিন মাস থেকেই জেলায় আগাম জাতের শীতকালীন সবজি মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, করলার আবাদ শুরু হয়। মাঠজুড়ে শুধু সবজি আর সবজি। বর্তমানে বিভিন্ন হাট-বাজারে এসব সবজি উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এ সবজি রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। কিছু কিছু সবজি বিদেশেও রফতানি হচ্ছে।

chardike-ad

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে এবার ৫ হাজার ২৫৪ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। এখান থেকে ৭০ হাজার টন সবজি উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সদর উপজেলার পাটিয়াডাঙ্গী গ্রামের সবজিচাষি মেহেদী আহসান উল্লাহ্ চৌধুরী, সাদ্দাম, হামিদুর জানান, শীতকালীন আগাম সবজি চাষে খরচ বাদ দিয়ে একরপ্রতি লাভ হয় ৪০-৬০ হাজার টাকা। কিন্তু স্বল্প সুদে ঋণ না পাওয়ায় লাভের অঙ্ক (টাকা) ধরে রাখা যাচ্ছে না। এছাড়া কিছু কিছু ব্যাংক ২০-৫০ হাজার টাকার বেশি ঋণ দেয় না। এতে ইচ্ছেমতো চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না।

স্থানীয় সবজির পাইকার মণ্ডল চন্দ্র জানান, শীতকালীন আগাম সবজি কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আমরা লাভবান হচ্ছি, পাশাপাশি কৃষকরাও লাভবান হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জ জেলা থেকে আগত পাইকার ইউনুস আলী জানান, এখানে উৎপাদিত সবজি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে বিক্রি করা হয়। এছাড়া কাতার, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, হংকংসহ ৭টি দেশে সবজি রপ্তানি হয়।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, স্থানীয় কৃষকরা ধান চাষ করে তেমন সুবিধা করতে পারছিলেন না। তাই তারা আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করছেন। এতে তারা লাভবান হচ্ছেন। সবজি চাষে মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা চাষীদের পরামর্শ দেন বলে জানান তিনি।