Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফের নিষিদ্ধ হলেন সাকিব!

Shakibখেলার মাঠে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের দায়ে ফের নিষেধাজ্ঞাদেশ পেলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট সুপার স্টার্সের সাথে ম্যাচ চলাকালে দেশিয় আম্পায়ার তানভির আহমেদের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে এই সাজার মুখে পড়েন তিনি।

ম্যাচে সাকিবের দল রংপুর রাইডার্স ছয় রানের দারুণ এক জয় পায়। আবারও অল রাউন্ড পারফরম্যান্সের (৩৩ রান ও তিন উইকেট) সুবাদে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন সাকিব। তবে, ম্যাচে আম্পায়ারের সাথে রংপুর অধিনায়কের ঝামেলায় জড়ানোর ব্যাপারটা নজরে আসে ম্যাচ রেফারি সেলিম শহীদের।

chardike-ad

ফলে, তার সুপারিশেই সাকিবকে ১ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একই সাথে তাকে গুণতে হবে ২০হাজার টাকা জরিমানাও। ম্যাচে শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঘটনার সূত্রপাত সিলেটের সুপার স্টার্সের ইনিংসের ১৩তম ওভারে। ১১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল মুশফিকুর রহিমের দল। বল হাতে শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা ও ব্যাটিংয়ে সিলেট অধিনায়ক মুশফিক।

ধারাভাষ্যকক্ষে বসে শামীম আশরাফ চৌধুরী বললেন, ‘ইটস অ্যা ফ্যান্টাসটিক ডিসিশন!’ তবে, কেন তার চোখে আম্পায়ার তানভির আহমেদের সিদ্ধান্তটা ‘ফ্যান্টাসটিক’ মনে হল সেটা বোঝা গেল না।

কারণ, টেলিভিশন রিপ্লেতে স্পষ্টই দেখা গেল যে, থিসারা পেরেরার বলটা সিলেট সুপার স্টার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে আলতো চুমু খেয়ে চলে গেলো উইকেটের পিছনে দাঁড়ানো মোহাম্মদ মিথুনের হাতে।

‘বড়’ উইকেট পতনের সাথে সাথেই উদযাপনটা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, সেই উদযাপনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন আম্পায়ার তানভির আহমেদ। এর আগেও মিথুন ও পেরেরার বেশ কয়েকটা শক্ত আবেদনেও অবিচল ছিলেন এই আম্পায়ার।

আর ঠিক তখনই যেন নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলেন না সাকিব। রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক তেড়ে আসলেন আম্পায়ারের দিকে। দু’পক্ষের মধ্যে কয়েকদফা কথা-কাটাকাটিও হয়। সমঝোতা করতে এগিয়ে আসলেন আরেক আম্পায়াররা শরাফুদ্দৌলা।

‘গজগজ’ করতে করতে সাকিব নিজেই সরে আসেন। আর এখানেই ব্যাপারটার ইতি ঘটে। তবে, ক্ষোভটা যে মনে মনে জমিয়ে রেখেছিলেন সেটা বোঝা গেল যখন ১৭ তম ওভারে সাকিব আসলেন বোলিং আক্রমনে।

প্রথম বলেই নাজমুল হোসেন মিলনকে বোল্ড করে সাজঘরে ফিরিয়ে দেয়ার সময় আম্পায়ারের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে নিলেন আদৌ আউট হয়েছে কি না!

সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের সামনে যে তাকে পড়তে হবে, সেটা জানাই ছিল। তবে, সেই প্রশ্নটা এড়িয়েই গেলেন সাকিব। প্রশ্নের জবাবে তিনি শুধু বলেন, ‘মাঝেমধ্যে এরকম হয়ে থাকে। আমি আসলে ওটা নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।’

জানিয়ে রাখা ভাল, এর আগে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে ম্যাচ চলাকালে টেলিভিশন ক্যামেরা উদ্দেশ্য করে অশালীন অঙ্গভঙ্গীর দায়ে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব।

এখানেই শেষ নয়, এরপর জুলাই মাসেও সাকিব ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তবে, সেই নিষেধাজ্ঞা পরে কমিয়ে তিন মাসে নিয়ে আনা হয়।