আগামীকাল সিউলে অনুষ্টতব্য বিসিকে অ্যাওয়ার্ডের দিনটি হবে ইপিএস কর্মীদের। ৫টি ক্যাটাগরির মধ্যে ৪টি ক্যাটাগরিতে ২০জন ইপিএস কর্মী পাবেন ইপিএস অ্যাওয়ার্ড ২০১৫। অন্য একটি ক্যাটাগরিও ইপিএস সংশ্লিষ্ট। ইপিএস কর্মীদের নিয়োগকারী কোরিয়ান কোম্পানী মালিকদের মধ্য থেকে যারা বেশি বাংলাদেশী নিয়োগ করেন তাদের মধ্য থেকে ৫জনকে দেওয়া হবে বিসিকে অ্যাওয়ার্ড।
প্রথম বিসিকে অ্যাওয়ার্ড কেন ইপিএস কর্মীদেরকে দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্নটা করা হয়ছিল বিসিকে অ্যাওয়ার্ড কমিটির সদস্য এবং বিসিকে সাধারণ সম্পাদক এম এন ইসলামকে। তিনি জানালেন কোরিয়ার অধিকাংশ প্রবাসী ইপিএস কর্মী। দেশের উন্নয়নে বিশাল একটা অবদান রাখছে ইপিএস কর্মীরা। এখন দশ হাজারের মত ইপিএস কর্মী কোরিয়াতে কর্মরত আছে। ইপিএস কর্মীদেরকে যদি আমরা ভালভাবে মূল্যায়ন করতে পারি এবং ইপিএস কর্মীদের যদি উৎসাহিত করতে পারি ভবিষ্যতে তাদের কাজের মাধ্যমেই ইপিএস কর্মীদের সংখ্যা দ্বিগুণ বা তিনগুণও হতে পারে। এইজন্যই বিসিকে প্রথম বছরের অ্যাওয়ার্ড ইপিএস কর্মীদের দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি জানান পরবর্তীতে কোরিয়ায় শিক্ষা, গবেষণা, ব্যবসা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে যারা অবদান রাখছে তাদেরকেও অ্যাওয়ার্ড এর মাধ্যমে সম্মানিত করতে চায় বিসিকে।
বিসিকে অ্যাওয়ার্ড নিয়ে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করছে ইপিএস কর্মীদের মধ্যে। কারা পাচ্ছেন এই অ্যাওয়ার্ড। এমন কৌতুহল অনেকের। ইতিমধ্যে আবেদন গ্রহণ, যাছাই বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ৫ ক্যাটাগরিতে চুড়ান্ত তালিকাও তৈরী করেছে বিসিকে’র সংশ্লিষ্ট কমিটি। ক্যাটাগরিগুলো হল কোম্পানী পারফর্মেন্স, বেস্ট রেমিটেন্স সেন্ডার, বেস্ট নিয়োগকারী, ই-৯ভিসা থেকে ই-৭ ভিসাপ্রাপ্ত এবং বেস্ট ইপিএস কমিটমেন্ট। আগামীকাল মঞ্চেই চুড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হবে এবং অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।