ভিসা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি আরোপ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এক সভায় দেশটির রাজনীতিবিদরা সিদ্ধান্ত নেন যে, বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যদি সিরিয়া, ইরাক, ইরান কিংবা সুদানে যায় তবে কোনোভাবেই তাকে মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না।
অন্যদিকে, বেশকিছু ইউরোপিয়ান দেশের নাগরিকদের জন্য ফ্রি ভিসার সুযোগ রয়েছে। যুক্তরাষষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। হাদি ঘামি নামে এক ইরানি মার্কিন বলেন, যু্ক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষার্থী, মানবাধিকার কর্মী এমনকি ব্যবসায়ীরা।
দেশটির এমন সিদ্ধান্ত আসলে পক্ষপাতমূলক আচরণই স্পষ্ট হয় বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই যারা সহিংসতার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কয়েকজনের জন্য পুরো সম্প্রদায়কে দায়ী করা বা শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস এই ভিসা আবেদনের কঠোরতায় স্বতস্ফূর্ত সাড়া দেয়। এই সিদ্ধান্তে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া বিতর্কিত মন্তব্যেরই প্রতিফলন দেখছেন কেউ কেউ।
ঘামি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তে আসলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সমর্থন দেওয়া হলো। আমাদের এমনটা করা উচিত নয়।’
ওবামা প্রশাসন এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানালেও এখনও সংসদের উচ্চকক্ষে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বিষয়টি। বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি পর্যটক যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ করে।
রিপাবলিবান রাজনীতিবিদ কেভিন ম্যাকার্থি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে ইরাক ও সিরিয়া থেকে অন্তত: ৫ হাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে। তাদের প্রতি আমাদের নজরদারি রাখা প্রয়োজন।
আমেরিকান আরব এন্টি-ডিসক্রিমিনেশন কমিটির আইনজীবী ইয়োলান্ডা রন্ডন বলেন, এই বিলের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসতে চাওয়া শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সূত্র: আল-জাজিরা