Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যা বললেন ইপিএস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা

সিউলে বিসিকে অ্যাওয়ার্ড ২০১৫ প্রদান করা হলো গতকাল । অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ইপিএস কর্মীদের কাছে স্বপ্নের মত একটা দিন। বাংলা টেলিগ্রাফকে জানিয়েছেন তাদের অনুভূতির কথা। মোট ৫ ক্যাটাগরিতে ২৬ জনকে বিসিকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে এই বছর। ক্যাটাগরিগুলো হল কোম্পানী পারফর্মেন্স, বেস্ট রেমিটেন্স সেন্ডার, বেস্ট নিয়োগকারী, ই-৯ভিসা থেকে ই-৭ ভিসাপ্রাপ্ত এবং বেস্ট ইপিএস কমিটমেন্ট।

 

chardike-ad
shafiq
বিসিকে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করছেন শফিকুল হাসান

শফিকুল হাসান

বেষ্ট রেমিটেন্স সেন্ডার

আমরা দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে যে রেমিট্যান্স পাঠাই তাতে যারা অবৈধভাবে যারা দেশে পাঠান তাদের চেয়ে হয়তো কিছু টাকা কম পাই। কিন্তু তাদের টাকা তো শুধু পরিবারের কাজেই আসছে, দেশের কোন উপকারে আসছে না। আমার স্বপ্ন ছিল দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের জন্য কিছু করার, কিন্তু আমার সেই সুযোগ হয়নি। জীবনের তাগিদে আসতে হয়েছে প্রবাসে। প্রবাস থেকে রেমিটেন্সের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে সত্যিই গর্বিত মনে হচ্ছে । বিসিকে কে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই এরকম একটা ভিন্নধর্মী আয়োজনের জন্য । আমার পক্ষ থেকে সকল প্রবাসী বাংলাদেশী ভাইদের কাছে আমার একটা অনুরোধ থাকবে যে, যেন সবাই বিদেশে থেকে বৈধ ভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ করেন। আমরা সবাই মিলে যদি দেশের জন্য কাজ করি তাহলে আমাদের দেশ অবশ্যই বিশ্বের মানচিত্রে একটি সুন্দর দেশ হিসেবে পরিচিত লাভ করবে ইনশাল্লাহ।

 

bazrul
বিসিকে অ্যাওয়ার্ড হাতে বজলুর রশিদ

বজলুর রশিদ

ই৯ থেকে প্রফেশনাল ভিসা (ই৭)

আমি  ২০১০ সালে কোরিয়াতে এসেছি । কাজের সাথে সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্টান থেকে ভাষা শিখে কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভিসা E9 ভিসা থেকে E7 ভিসায় পরিবর্তন করেছি। কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়া আয়োজিত বিসিকে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে আমাকে নির্বাচিত করায় খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত। বিসিকেকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। সুন্দর এই বর্নাঢ্য অনুষ্টানে সকল প্রবাসীদেরকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ সত্যিই অতুলনীয়।

আমি সকল প্রবাসী ভাইদের বলব আসুন ভিসা পরিবর্ভনের মাধ্যমে বৈধভাবে কোরিয়ায় থেকে দেশের সুনামকে বৃদ্ধি করি এবং কোরিয়া আসার জন্য যারা অপেক্ষায় আছে তাদেরকে তাড়াতাড়ি আসতে সাহায্য করি। কারন একজন অবৈধ হলে দেশ থেকে আসা লোকের কোটা কমে যায় সেই সাথে নিজেরও ক্ষতি দেশেরও ক্ষতি। তাই আসুন আজ থেকেই চেষ্টা করি সেই সাথে কোরিয়ার আইনকানুন মেনে চলার চেষ্টা করি এবং দায়িত্ব নিয়ে যার যার কর্মস্থলে কাজ করে মালিককে খুশি রাখি।

shanto
বিসিকে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ শেষে শাহ জালাল শান্ত

 

শাহ জালাল (শান্ত শেখ)

বেষ্ট কোম্পানী পারফর্মনেন্স

প্রথমেই বিসিকে কে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই এরকম একটা ভিন্নধর্মী আয়োজনের উপহার দেওয়ার জন্য। আমরা বাঙ্গালী জাতি বীরের জাতি।

আমরা প্রবাসে প্রায় সোয়া এক কোটি বাঙ্গালী বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছি। কোরিয়াতে আমাদের ইপিএস শ্রমবাজারকে ব্রান্ডিং হিসেবে রেখে আমরা যদি ভাল কিছু করি তাহলে আরও অনেক কর্মী আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আরও কর্মী আসলে বাংলাদেশ বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাবে সেই সাথে প্রতিষ্টানে নিজেদের অবস্থান ভাল রেখে নিজের কোম্পানি মনে করে সততার সাথে কাজ করলে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধি পাবে। আবারও বিসিকে কে ধন্যবাদ জানাই।

jiaul
বিসিকে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করছেন জিয়াউল হক

 

 

জিয়াউল হক

বেষ্ট ইপিএস কমিটেড

বিসিকে কে  আন্তরিক অভিনন্দন জানাই আমাদের ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আরও উৎসাহিত করার জন্য।

ধৈর্য্য, সততা, পরিশ্রম, একাগ্রতা এই জিনিসগুলোর সমন্বয় করতে পারলে আমরা বিদেশের মাটিতে নিজেদের দেশের ইমেজ বৃদ্ধি করতে পারি। দেশের জন্য সুনামও বয়েও আনতে পারি।

উল্লেখ্য, প্রায় ১০হাজারের মত ইপিএস কর্মী কোরিয়ায় কাজ করছে। কোরিয়া থেকে উল্লেখযোগ্য রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন ইপিএস কর্মীরা। আগামীতে আরো ভাল পারফর্মেন্স এবং নিজেদের যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে যেন বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করতে পারে সেলক্ষ্যে প্রথম বিসিকে অ্যাওয়ার্ড ইপিএস কর্মীদের জন্য রাখা হয়। তাছাড়া ছয়জন কোরিয়ান কোম্পানীর মালিককেও বাংলাদেশীদের নিয়োগ প্রদানের জন্য বিসিকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।