Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার বাংলাদেশিরা

malaysia-airportকেবল বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্যই যেন নিয়মটা আলাদা। অন্যান্য দেশের নাগরিকদের নির্দিষ্ট কাউন্টারে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলেও বাংলাদেশিদের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার আগে লাইনে দাঁড় করিয়ে তথ্যানুসন্ধান করা হয়।

বুধবার এমন ঘটনা চোখে পড়লো মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশিদের আলাদা লাইনে দাঁড় করিয়ে তথ্যানুসন্ধানের নামে অপমানও করা হয়।

chardike-ad

অবশ্য মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশিদের উপর বাড়তি নজরদারি অংশ হিসেবে তারা প্রত্যেক যাত্রীর তথ্যানুসন্ধান করে তাদের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। কাউকে নাজেহাল করার জন্য নয়।

বুধবার সকাল ৭টায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলএআই) অবতরণ করে মালইন্দো এয়ারলাইন্সের ওডি-১৬১ ফ্লাইট। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দুইশ যাত্রী বোর্ডিংব্রিজ পেরিয়ে টার্মিনালে প্রবেশ করতেই তিনজন নারী ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বললেন, সব বাংলাদেশিকে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। পাশ দিয়ে বিনা বাধায় ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাবার অনুমতি মিললো অন্যান্য দেশের যাত্রীদের। বৈধ ভিসায় পর্যটক হিসেবে গিয়ে এভাবে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো বাংলাদেশি।

সরেজমিন বুধবার সকালে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে এমন ভোগান্তিতে পড়া টাঙ্গাইলের ফিরোজ আল-মামুন বলেন, হলিডে ট্যুরে মালয়েশিয়া এসেছিলাম। ইমিগ্রেশনের নারী কর্মকর্তা ইয়াসমীন জামিন হাত থেকে পাসপোর্ট-টিকিট ছিনিয়ে নিয়ে নানা প্রশ্ন করে আমাকে নাজেহাল করার চেষ্টা করে। প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রাখা হয় তাকে।

কামরুল হাসান নামে আরেক বাংলাদেশির অভিযোগ, ইমিগেশনের একটি কক্ষে বেলা ১০টা পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান কামরুল হাসান। এভাবে প্রতিদিনই হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।

বিষয়টি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই যাত্রীদের কাছ থেকে বিমানবন্দরে হয়রানির এমন অভিযোগ পাচ্ছেন।