Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রোটিয়াদের হারিয়ে টাইগারদের শুভ সূচনা

u 19দুর্দান্ত বোলিং আর ক্ষুরধার ফিল্ডিংয়ে মাঝারি সংগ্রহকে পুঁজি করেই জয়ের বন্দরে পৌছে গেল বাংলাদেশ। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৩ রানে হারিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের যুবাদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট।

চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরুটা সাবধানী হলেও বেশিদূর যায়নি টাইগারদের ওপেনিং জুটি। দলীয় ৩০ রানে সাজঘরে ফিরে যান সাইফ হাসান। এরপর জুটি বাঁধেন পিনাক ও জয়রাজ। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৩ রান করে রান আউট হন পিনাক। উইয়ান মুল্ডারের শর্ট বলে দুর্দান্ত দুটি পুল শটে ছক্কা মেরেছেন পিনাক। জয়রাজও খেলেছেন দারুণ কিছু ফ্লিক ও ড্রাইভ। তবে অর্ধশতক করতে পারেননি। ৪৬ রান করে কটবিহাইন্ড হন।

chardike-ad

চতুর্থ উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের এ জুটি বাংলাদেশের ইনিংসে স্থিরতা এনে দেয়। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক টনি ডি জর্জিকে উইকেট দিয়ে অধিনায়ক মিরাজ ফেরেন ২৩ রানে।

তবে অন্য প্রান্তে থাকা শান্ত রানের চাকায় গতি এনে দেন। আউট হওয়ার আগে ৮২ বলে ৭৩ রান করেন তিনি। ইনিংসে ছিল চারটি চার ও তিনটি ছক্কা। শেষদিকে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে না পারায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের রান ওঠে ২৪০।

২৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই প্রোটিয়াদের চাপে রেখেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ এক শতক করেছেন ওপেনার লিয়াম স্মিথ। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা গুটিয়ে গেছে ১৯৭ রানে। স্মিথ ছাড়া স্বচ্ছন্দে খেলতে পারেননি কেউ।

নতুন বল হাতে নিয়ে দলকে পথ দেখানোর কাজটি করেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরিয়ে দেন কাইল ভেরেইনকে (৫)। প্রথম পরিবর্তিত বোলার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন জোড়া আঘাতে নাড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষকে। দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করেন ভিয়ান মুল্ডারকে (৮), অধিনায়ক টনি ডি জর্জি বোল্ড হন ইয়র্কার ব্লক করতে না পেরে।

স্পিনাররা আক্রমণে আসার পর আরো গুটিয়ে  যান দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। থমকে যায় রানের গতি। পঞ্চম উইকেটে ডায়ান গালিমকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন স্মিথ। গালিমকে (২২) বোল্ড করে ৫২ রানের এ জুটি ভাঙেন অফ স্পিনার সাঈদ সরকার। তবে স্মিথ এক প্রান্ত আগলে চেষ্টা করে গেছেন। কিন্তু রান-বলের টানাপোড়েনে পেরে ওঠেননি শেষতক।

৩টি করে উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক মিরাজ ও পেসার সাইফুদ্দিন। দুটি করে নিয়েছেন দুই স্পিনার সাঈদ ও সালেহ আহমেদ শাওন। সূত্রঃ বণিকবার্তা।