দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলিম প্রবাসীদের সঠিকভাবে ইসলাম পালনের আহবান জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার স্বনামধন্য আলেমগণ। বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়া আয়োজিত প্রবাসে ইসলাম পালন শীর্ষক আলোচনা সভায় আলেমগণ এই আহবান জানান। আজ সিউল সেন্ট্রাল মসজিদে চারদিনব্যাপী আলোচনা সভার সর্বশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শিনছোন মসজিদ, আনসান মসজিদ এবং সংউরি মসজিদে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অংশ মাওলানা আবু শিফা মোহাম্মদ আকমাল হুসাইন, হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান, মুফতি মাওলানা মমতাজুল হক এবং মুফতি মাওলানা নজরুল ইসলাম।
মাওলানা আবু শিফা মোহাম্মদ আকমাল হুসাইন আলোচনায় বলেন শিরক এবং বিদায়াত থেকে বেঁচে থাকতে হবে। অসতর্কতার কারণে অনেক মুসলমান শিরকে লিপ্ত হচ্ছে। নিজেদের অজান্তেই বিদায়াত করছে। শিরক এবং বিদায়াত থেকে বেঁচে না থাকতে না পারলে মুসলমান হওয়া যাবেনা।
আনিয়াং মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান বলেন রাসুল (সঃ) বিদায় হজ্বের সময় দুটি জিনিস আমাদের জন্য রেখে গিয়েছেন কোরআন এবং হাদীস। এই দুই মহান গ্রন্থ ছাড়া অন্যকিছুকে অনুসরণ করা যাবেনা। যত বড় আলেম, বুজুর্গ, পীর হোকনা কেন যতক্ষণ পর্যন্ত এই দুই গ্রন্থকে অনুসরণ করবেন ততদিন তাদের কথা মানা যাবে। যখনই এই দুই গ্রন্থের বাইরে কথা বলা শুরু করবেন তাদেরকে কোনভাবেই অনুসরণ করা যাবেনা।
আনসান মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা মমতাজুল হক দৃষ্টি সংযত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন চোখের দৃষ্টিকে সংযত করা না গেলে প্রকৃত মুসলমান হওয়া যাবেনা। কোরিয়ার প্রেক্ষিতে তিনি দৃষ্টি সংযত করার পাশাপাশি হালাল হারামের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।
সংউরি মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা নজরুল ইসলাম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন নামাজ ফরজ। অথচ কোরিয়াতে অর্ধেকের বেশি মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজতো দূরের কথা জুমা বা ঈদের নামাজেই আসেননা। এইটা দুঃখজনক। মুসলমানদের যেকোন প্রেক্ষাপটে নামাজ পড়া ফরজ।
বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়ার ধর্ম বিষয়ক কমিটি প্রথমবারের মত কোরিয়ায় চারটি মসজিদে ইসলামিক আলোচনা সভার আয়োজন করে।