Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিশ্বের সবচেয়ে ‘সৌভাগ্যবান’ বিমান যাত্রী

zhangপুরো বিমানে আপনি একমাত্র যাত্রী, কোনো কোলাহল নেই, বিমানের সেবাদানকারীদের সব মনযোগ আপনাকে ঘিরে। অপ্রত্যাশিত এই সৌভাগ্যের অধিকারী হয়েছেন চীনের এক তরুণী। চীনা নববর্ষ উদযাপনের জন্য ঝ্যাং নামের ওই তরুণী গুয়াংঝুতে তার বাড়িতে ফিরছিলেন।

এ বছর ৮ ফেব্রুয়ারি চায়না নববর্ষ। চীনে সাত দিন ধরে নববর্ষ উদযাপন করা হয়। এ সময় কোটি কোটি মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে।

chardike-ad

চীনে নববর্ষের সময় তুষারপাতের ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু এবার কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ও ভারী তুষারপাতের কারণে দেশটিতে গণপরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। কয়েকশ’ ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে না যাওয়ায় গুয়াংঝু রেলস্টেশন ও এর আশেপাশের এলাকায় প্রায় এক লাখ যাত্রী আটকা পড়ে।

বেশ কয়েকটি ফ্লাইটও বিলম্বে ছেড়ে যায়। যেমনটি হয়েছিল ঝ্যাংয়ের ফ্লাইটের ক্ষেত্রে। সেন্ট্রাল ইউহান থেকে গুয়াংঝুগামী ঝ্যাংয়ের সিজেড২৮৩৩ ফ্লাইটটি তুষারঝড়ের কারণে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিমান কোম্পানির পক্ষ থেকে যাত্রীদের আগের একটি ফ্লাইটে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। অধিকাংশ যাত্রী ওই প্রস্তাব লুফে নেয়। কিন্তু ঝ্যাং অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে দেখা যায়, সিজেড২৮৩৩ ফ্লাইটটির একমাত্র যাত্রী তিনিই।

নিজের এ অদ্ভূত অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ঝ্যাং বিমানের ভেতর নিজের ছবি তুলে তা চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ওয়েইবো’ তে পোস্ট করেন।

একজন মন্তব্য করেন, “ওড়ার কি চমৎকার ব্যবস্থা। আপনি যে ধরনের সেবা পেয়েছেন, বিশেষ করে পরিবহন ব্যবস্থার এরকম বিশৃঙ্খল অবস্থায় তাতে বলতে হয়, আপনি প্রকৃতপক্ষে সৌভাগ্যের অধিকারী।”

অন্য একজন বলেন, “বোন, আপনি পরিষ্কারভাবেই বিশ্বের সবচেয়ে সৌভাগ্যবান যাত্রী- এই (সৌভাগ্যকে) আগলে রাখুন।” যদিও অনেকে একে ‘অপচয়’ বলে মন্তব্য করেছেন।

একজন বলেন, “চীনা নববের্ষের এ সময়ে যখন কোটি কোটি মানুষ কোনো মতে বাড়িতে পৌঁছানোর লড়াই করছে সেখানে এটা কী অপব্যয় নয়?”

অন্যজন বলেন, “বিমান কোম্পানির উচিত ছিল অপেক্ষা করা এবং পেছনের আরও যাত্রীদের নিয়ে তারপর উড্ডয়ন করা। এটা করে জ্বালানীর অপচয়ও হয়েছে।”

তবে দারুণ খুশি ঝ্যাং বিবিসি’কে বলেন, “আমি খুব আনন্দিত। আমার জীবনে এটি খুবই বিরল একটি অভিজ্ঞতা এবং নতুনও বটে। আমার নিজেকে রকস্টার মনে হয়েছে।”