কোরিয়ায় কর্মরত ইপিএস কর্মীরা বাংলাদেশের শিল্পখাতে একটা বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে চায়। বর্তমানে ১০হাজারেরও বেশি ইপিএস কর্মী কোরিয়াতে কর্মরত। কোরিয়ায় কর্মক্ষেত্রে পাওয়া প্রশিক্ষণ এবং কর্মদক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের শিল্পখাতে একটা বিপ্লব সম্ভব। যেসব পণ্য বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে সেসব পণ্য বাংলাদেশে উৎপাদন করতে পারলে আমদানি কমবে, নতুন উদ্যাক্তার সৃষ্টি হবে এবং রপ্তানির নতুন খাতও সৃষ্টি হবে।
আজ বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়া (বিসিকে) আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ইপিএস কর্মীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিউলে কেইবি’র গ্লোবাল হলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান বলেন কোরিয়া প্রবাসীরা ভাগ্যবান। অন্যান্য দেশের প্রবাসীদের চেয়ে কোরিয়া প্রবাসীরা অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। ইপিএস কর্মীদের কাজের দক্ষতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা উল্লেখ করে তিনি ইপিএস কর্মীদের বাংলাদেশে গিয়ে বিনিয়োগ করার আহবান জানান।
বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব জাহেদুল ইসলাম ভূঁইয়া “প্রাথমিক উদ্যোক্তাদের সুযোগ সুবিধা এবং চ্যালেঞ্জ সমূহ” শীর্ষক আলোচনায় বাংলাদেশে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে ইপিএস কর্মীদের বিনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আলোচনায় বাংলাদেশে গিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হতে হবে তার একটি বিবরণ দেন।
ব্যবসা শুরুর অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে ব্যবসায়ী এবং বিসিকের সাবেক সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক রানা বলেন ‘প্রথমদিকে খুব অনেক কষ্টের পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। যারা অনেক সফল মানুষ তাদের কেউ খুব সহজে বড় বড় জায়গায় যাননি’। তিনি ইপিএস কর্মীদের ব্যবসার শুরুর কয়েক বছর আগেই পরিকল্পনা নেওয়ার উপর জোর দেন।
কর্মশালায় বিসিকে সভাপতি হাবিল উদ্দিনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিকে শিক্ষা বিষয়ক কমিটির প্রধান ডঃ হুমায়ুন কবির। সকালে প্রথম অধিবেশনে দক্ষিণ কোরিয়াতে স্থায়ীভাবে বসবাস, ভিসা পরিপর্তন এবং বাংলাদেশ কোরিয়া বাণিজ্যে নিয়ে আলোচনা করেন বিসিকে সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার কামাল। “ব্যবসা কোথা থেকে কিভাবে শুরু করবেন এবং প্রতিবন্ধকতা সমূহ কী কী?” শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন বিসিকে নির্বাহী সদস্য মোহাম্মাদ আল আমিন। ভিসা পরিবর্তন নিয়ে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন মিজান জাহিদ।
কর্মশালায় বিসিকে নির্বাহী সদস্য আব্দুল খালেক, আসাদুজ্জামান জুয়েল, এ কে এম জামান সরকার, ইজাজুল হক, জিয়াউল হক, ফেরদৌস টিটু, ইব্রাহিম মাহাদি, ইউসুফ হোসেন, মাঞ্জুর এলাহী, নুর হোসেন, রাফিজ রনি, আজমীর হোসেন এবং মোহাম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন।