Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

20792রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শুক্রবার। বেলা ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল মাত্র ২৪ শতাংশ।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক শহীদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এর আগে এবারের মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত ২৩ এপ্রিল ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজশাহীর ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯৭২ সালের ১৮ মে। ওই দিন তাপমাত্রার পারদ ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল।
শহীদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ৬টায় ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দিনের শুরু হয়। ওই সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। তবে বেলা ৩টায় তাপমাত্রা এবারের মৌসুমের রেকর্ড স্পর্শ করে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা খুবই কম থাকায় তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো।
এদিকে গত ২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে রাজশাহীতে বৃষ্টি হচ্ছে না বলে থার্মোমিটারের পারদ শুধু উঠছেই। বৃষ্টির কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। প্রবল বর্ষণ এবং কালবৈশাখীর মতো ঝড়ই তাপমাত্রা কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনতে পারে। তবে আগামী অন্তত দুই সপ্তাহের মধ্যে এ ধরনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
প্রতিবছর বৈশাখ মাসে খরা পরিস্থিতি থাকলেও এবারের বৈশাখ একেবারে খটখটে শুকনো। শীত মৌসুম শুরু হওয়ার পর রাজশাহীতে সামান্য কিছু বৃষ্টি হয়েছে অবশ্য। কিন্তু গত ৬ এপ্রিলের পর থেকে এখানে বৃষ্টি হয়নি ছিঁটেফোটাও। ফলে অব্যাহত তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজশাহীবাসী। মানুষের পাশপাশি পশু-পাখির অবস্থাও ত্রাহি ত্রাহি।
এরই মধ্যে তীব্র তাপদাহে রাজশাহীতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টির জন্য আল্লাহর দরবারে নফল নামাজ আদায় করে অঝোরে কেঁদেছেন নগরবাসী। তবু বৃষ্টির দেখা নেই। কেন বৃষ্টি হচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বাতাসে জলীয় বাষ্প একেবারেই কম। শুষ্ক এলাকা থেকে বাতাস আসছে বলে জলীয় বাষ্প আনতে পারছে না। ফলে আকাশে মেঘ জমছে না, ঝরছে না বৃষ্টিও।
আর বৃষ্টি না হওয়ায় লিচুর তেমন ক্ষতি না হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে রাজশাহী অঞ্চলের আমের। অনাবৃষ্টিতে অনেক গাছের আমের কড়ালি ঝরে ঝরে পড়ছে।
অন্যদিকে এতো তাপমাত্রায় কমে যাচ্ছে পানির উৎস। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় খুব অল্প পানিতে বেশি করে জীবাণু বাস করছে। ফলে শুদ্ধ করা হয়নি এমন পানি পান করলেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
তৃষ্ণার্ত মানুষ একটু প্রশান্তি পেতে রাস্তার পাশের খোলামেলা শরবতসহ নানা পানীয় পান করেও আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগে। প্রতিদিনই এসব রোগীরা চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।