সুইজারল্যান্ডে বিভিন্ন কল্যাণমূলক ভাতার পরিবর্তে নিঃশর্ত মৌলিক আয় উদ্যোগ চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ উদ্যোগের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের জন্য বছরে ৩০ হাজার ২৭৬ ডলার (৩০ হাজার ফ্রাঁ) বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী ৫ জুন উদ্যোগটি চালুর বিষয়ে ভোট দেবে দেশটি। কী পরিমাণ অর্থ দেয়া হবে, তা নির্দিষ্ট না হলেও পূর্ণবয়স্কদের জন্য মাসে ২ হাজার ৫২৩ ডলার (২ হাজার ৫০০ ফ্রাঁ) ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের এর এক-চতুর্থাংশ বরাদ্দের কথা জানা গেছে। খবর ব্লুমবার্গ।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দেশের জন্য এ পরিমাণ অর্থ দারিদ্র্যসীমার সামান্য বেশি এবং দেশটির জাতীয় গড় আয়ের ৬০ শতাংশ। বছরে ৩০ হাজার ফ্রাঁ একজন ব্যক্তির ভদ্রভাবে জীবনযাপনের সহায়ক বলে উদ্যোক্তারা মনে করছেন। তবে এ পরিমাণ অর্থ দেশটির ২০১৪ সালের দারিদ্র্যসীমার চেয়ে সামান্য বেশি। ২০১৪ সালে সুইজারল্যান্ডের দারিদ্র্যসীমার পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার ৫০১ ফ্রাঁ। ওই বছর প্রতি আটজনে একজনের এ সীমার নিচে বসবাস ছিল, যা ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও নরওয়ের চেয়ে বেশি। সুইজারল্যান্ডে চরম দারিদ্র্য নেই। তবে কিছু লোক রয়েছে, যাদের যথেষ্ট অর্থ নেই এবং কিছু মানুষ রয়েছে, যারা কাজ করছে কিন্তু যথেষ্ট অর্থ আয় করতে পারছে না।
সুইজারল্যান্ড ছাড়াও কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও ফিনল্যান্ডের মতো বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশ সবার জন্য ভাতার ধারণাটি নিয়ে ভাবছে। গত বছর এসব দেশে এ নিয়ে প্রাথমিক গবেষণা শুরু হয়েছে।
তবে সরকার এ উদ্যোগের বিপক্ষে রয়েছে।