জিডিপিতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের তালিকায় বিশ্বের ১৬১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৫তম। তবে বাজেটে শিক্ষায় কি পরিমাণ বরাদ্দ রাখা হয় সেই তালিকায় বিশ্বের ১৫৫ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তম। অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদরা এই বরাদ্দকে অপ্রতুল হিসেবে অভিহিত করে বলছেন, এ বরাদ্দ গুণগতমানের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সামগ্রিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়।
উত্তর পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। ৭০ এর দশকে বাংলাদেশ ও এই দেশটির অর্থনীতি ছিলো সমপর্যায়ের। কিন্তু পরবর্তী দুই দশকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে- দক্ষিণ কোরিয়া।
অন্যান্য অনেক কারণের পাশাপাশি শিক্ষাখাতে বড় বিনিয়োগও এই সাফল্যের অন্যতম কারণ। ইউনেস্কোর সুপারিশ মতে, বাজেটের ২০ শতাংশ এবং জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ ব্যয় করতে হবে শিক্ষায়। কিন্তু গত ৫ বছরের বাজেট পর্যবেক্ষণ বলছে, শিক্ষায় বরাদ্দ মোট বাজেটের ১১ থেকে ১৩ শতাংশের আশেপাশে ঘুরছে। গেল বাজেটে সে অবস্থান থেকেও কমে বরাদ্দ ছিলো ১০ দশমিক সাত এক শতাংশ।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডির গবেষক মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, কোন দেশ জিডিপির কত শতাংশ শিক্ষায় ব্যয় করে সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৫ তম। একই গবেষণায় দেখানো হয়েছে, বাজেটের কত ভাগ শিক্ষায় বরাদ্দ সেই তালিকায় বাংলাদেশ ৮১ তম অবস্থানে। এত কম বরাদ্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে বাধা-এমন মত শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদদের।
দেশে শিক্ষাখাতে যা বরাদ্দ হয়, তার একটা বড় অংশই আবার ব্যয় করতে হয় বেতন-ভাতাসহ নানা অনুন্নয়ন খাতে।
বলা হয়ে থাকে সামাজিক, অর্থনৈতিক আর সাংস্কৃতিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজে মৌলিক পরিবর্তনের জন্য যেটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেটি হলো শিক্ষা। আর তাই শিক্ষাই শক্তি। এ কারণে বৃহৎ স্বার্থে এই খাতে বৃহৎ বিনিয়োগ জরুরি