Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঢাকায় ভিন্নধর্মী বিজনেস সল্যুউশন প্রদর্শনী

image_156299_0স্থানীয় বাজারে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার বাজার সম্প্রসারণে, প্রাইভেট সেক্টর অটোমেশন/ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিত করা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বেসিস আয়োজন করেছে ‘বিজটেক বিটুবি কনফারেন্স’।

দেশের প্রথম ভিন্নধর্মী বিজনেস সল্যুউশন প্রদর্শনীতে ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও তৈরি পোশাক খাতের উপর ইন্ডাস্ট্রি পেপার উপস্থাপন, আলাদা ৪টি প্যানেল আলোচনা, প্রদর্শনী এবং বিটুবি মিটিং অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

chardike-ad

শনিবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এই বিজটেক বিটুবি কনফারেন্সটি চলছে আগামীকাল (রবিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত।

 আয়োজনের অংশ হিসেবে শনিবার সকালে ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স বিষয়ে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স খাতের উপর ইন্ডাস্ট্রি পেপার তুলে ধরেন লংকাবাংলার চিফ টেকনোলজি অফিসার ও পরিচালক এস.এ.আর মো. মইনুল ইসলাম। বেসিসের যুগ্ম-মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ, ডিসিসিআই সভাপতি হোসেইন খালেন, সিটিও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তপন কান্তি সরকার, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা চৌধুরী।

এরপর দুপুরে বিজনেস টু বিজনেস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে স্বাস্থ্য খাতের উপর প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া বিকেল ৫ টায় তিনি আয়োজন সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিং করবেন।

একইভাবে আগামীকাল রোববার সকাল ১০টায় শিক্ষা খাত ও বিকেল ৩টায় তেরি পোশাক খাতের উপর প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন মডেল, প্রকল্প এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে আমাদের এসব প্রকল্প তাদের দেশে বাস্তবায়ন করছে ও অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমাদের দেশি কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিকমানের সক্ষমতা রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অগ্রযাত্রায় আমরা ২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। আর এজন্য আমাদের দেশি কোম্পানির স্থানীয় বাজারসহ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রচার, প্রসার প্রয়োজন। সেই লক্ষ্য নিয়ে বেসিসকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বিজটেক বিটুবি কনফারেন্স আয়োজন করেছি। আমরা প্রত্যাশা করি এর মাধ্যমে দেশের বড় খাতগুলো তাদের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা আমাদের দেশি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকেই বেছে নেবে ও তাদের সচেতনতা বাড়বে। এগিয়ে যাবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত, বাস্তবায়িত হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ।”

বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, “আমরা প্রতিবছর কয়েকশ’ মিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যারসহ তথ্যপ্রযুক্তি সেবা আমদানি না করে স্থানীয় সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে শক্তিশালী আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করতে পারি। যদি একান্তই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় বা বিদেশি কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চায়, সেসব ক্ষেত্রে তাদের সাথে আমাদের স্থানীয় কোম্পানির কমপক্ষে ৫০ শতাংশ শেয়ার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। স্থানীয় বাজার উন্নয়নে ইতিমধ্যেই বেসিসের পক্ষ থেকে পাবলিক প্রোকিউরমেন্ট পলিসি ও অ্যাক্টে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্ঠা, পরিকল্পনা মন্ত্রী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সমর্থন করেছেন। তেমনই আরেকটা উদ্যোগ হলো বিজটেক বিটুবি কনফারেন্স। এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন খাতের শীর্ষব্যক্তিরা স্থানীয় সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবার সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে ও যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারছেন।”

বেসিসের মহাসচিব ও বিজটেক বিটুবি কনফারেন্সের আহ্বায়ক উত্তম কুমার পাল বলেন, “বিজটেক বিটুবি কনফারেন্স একেবারেই ভিন্নধর্মী আয়োজন। যেখানে আলাদা আলাদা সময়ে আগে থেকেই নিবন্ধিতরা বিটুবি ম্যাচমেকিংয়ে মিলিত হচ্ছেন। সরকার, ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের নিয়ে থাকছে ইন্ডাস্ট্রি পেপার প্রেজেন্টেশন, সরকারসহ বিভিন্ন খাতের নীতিনির্ধারকদের অংশগ্রহণে গোলটেবিল বৈঠক, যাতে সফটওয়্যার খাতের বর্তমান অবস্থা, সক্ষমতা, অটোমেশনসহ নানা দিক তুলে ধরা ও আলোচনা করা হচ্ছে।” নতুনবার্তা