Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যুক্তরাষ্ট্রের সিংহভাগ কর্মজীবীর জন্ম অন্য দেশে

usaযুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে বিদেশে জন্মগ্রহণকারী কর্মীদের সংখ্যা গত বছরও বেড়েছে। স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে অন্যত্র জন্ম নেয়া শ্রমিকরা অধিক হারে যুক্তরাষ্ট্রমুখী হচ্ছেন। সে তুলনায় দেশটির শ্রমবাজারে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকদের সংখ্যা বাড়লেও প্রবৃদ্ধির গতি ছিল অনেকটাই শ্লথ। মার্কিন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক একটি উপাত্তে এমনটি দেখা গেছে। খবর ইকোনমিক টাইমস।

মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেখা গেছে, গত বছর নতুন করে ২ কোটি ৬৩ লাখ বিদেশী বংশোদ্ভূত কর্মী মার্কিন শ্রমবাজারে যুক্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনবলের তুলনায় তাদের অনুপাত ১৭ শতাংশ, যা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ১৯৯৬ সালে এ আনুপাতিক হার ছিল ১১ শতাংশ। ২০০৭ সালে তা ১৬ শতাংশে উন্নীত হয়। এর পর অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্রে অন্যত্র জন্ম নেয়া শ্রমিকদের সংখ্যা কমতে থাকে।

chardike-ad

শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ ও অবৈধ শ্রমিকদের আলাদা করে দেখানো হয়নি। এমনকি কোন কোন দেশ থেকে শ্রমিকরা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছেন, তাও নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খুব বেশি সময় বাকি নেই। এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসী শ্রমিক-সংক্রান্ত বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তুলে অনুপ্রবেশ ঠেকানো ও যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম অভিবাসন বন্ধের আগাম ঘোষণা দিয়ে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে অর্থনৈতিক ও জাতিগত উদ্বেগ তৈরি করেছেন। গত মাসে ডেমোক্রেটিক মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকা হিলারি ক্লিনটন ঘোষণা দেন, ক্ষমতায় এলে তিনি জাতীয়ভাবে অফিস অব ইমিগ্রান্ট অ্যাফেয়ার্স চালু করবেন। তিনি বলেন, সরকারি প্রকল্পগুলোর মধ্যে সমন্বয় এবং অভিবাসী ও শরণার্থীদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত করতে এটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে।

সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ১০০ কোটি ডলার বা এর বেশি আকারের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নতুন উদ্যোগের অর্ধেকের বেশি ক্ষেত্রেই অভিবাসীরা জড়িত। এর মাধ্যমে মার্কিন অর্থনীতিতে অভিবাসীদের অবদান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।