Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সাগরে ভাসলো বোয়িং বিমান

bimanবিমান তো আকাশেই ওড়ে, তাই না? কিন্তু বিমান যদি সাগরে ভাসতে দেখেন কেমন লাগবে? এমনটাই ঘটেছে আয়ারল্যান্ডে। একটি অব্যবহৃত ১৫৯ ফুট লম্বা বিমান (বোয়িং ৭৬৭) কার্গো বার্জে (বিশাল ভাসমান নৌযান) আইরিশ সাগর পাড়ি দিয়েছে। আয়ারল্যান্ডের শ্যানন এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ এই বিরল দৃশ্যের ভিডিও শেয়ার করেছে।

বিষয় হলো, ধনকুবের ডেভিড ম্যাকগোয়েন বিমানটি কিনেছেন। এটি তার বিলাসবহুল রিসোর্টে থাকবে। সেখানে আরো থাকবে বাস, ট্যাক্সি ও ট্রেন। এগুলোকে বাড়ি-ঘরের মতো বাসযোগ্য করে তোলা হবে। দর্শণার্থীরা সেখানে গিয়ে সময় কাটাতে পারবেন। যে কারণে বিমানটিকে কার্গো বার্জে করে নিয়ে যেতে হয়েছে তার নতুন ঠিকানায়।

chardike-ad

সাগরে কার্গোতে যখন বিমানটি আনা হচ্ছিল তখন পাড়ে দাঁড়িয়ে শত শত মানুষ ঐ বিরল দৃশ্য দেখেছে। বেশিরভাগ দর্শকই বিষয়টি শেয়ার করেছে টুইটারে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিমানটির সাগর পাড়ি দিতে সময় বেশি লেগেছে বলে জানিয়েছেন এর বর্তমান মালিক ম্যাকগোয়েন। বিমানটিকে ভিন্ন কারণে ব্যবহার করা হবে জেনেও ম্যাকগোয়েনের কাছে এটি বিক্রি করেছে শ্যানন এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ। এয়ারপোর্টের প্রপার্টি ম্যানেজার ডেইরড্রি হুইটনি বলেছেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি এভাবে সাগরে কোনো বিমান ভেসে যেতে দেখবো। তবে ম্যাকগোয়েনের আগ্রহ ছিলো খুব সংক্রামক। তাই তার অদ্ভুত প্রজেক্টে সমর্থন করতে পেরে খুশি আমরা।’

বিমানটিকে বার্জে তুলতে ব্যয় হয়েছে ৬ ঘণ্টা সময়। আর সাগরে ৩৬ ঘণ্টা ভেসেছে বিমানটি। বিমানটির ওজন প্রায় ৫০ টন। ম্যাকগোয়েন ৩০ বছর পুরনো বিমানটি কিনেছেন ১৬ হাজার পাউন্ডে। প্রথমে বড় ট্রাকে বিমানটি নিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, এতে বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আর সড়কে ট্রাফিক জ্যাম লেগে যেতে পারে। তাই বিকল্প পথ হিসেবে সাগরে ভাসিয়েই বিমানটি নিতে হলো। এ জন্য মাটি থেকে বিমানটি তুলে বার্জে রাখার জন্য ভাড়া করতে হয়েছে ১৫০ টন ওজনের ক্রেন।

নিজের এমন অদ্ভুত প্রজেক্ট প্রসঙ্গে ম্যাকগোয়েন বলেন, ‘আমার ১৫ একরের একটা খালি জায়গা আছে। সেখানে কী করবো ভাবছিলাম। যেহেতু আমরা ট্যুরিস্ট জোন- ওয়াইল্ড আটলান্টিক ওয়েতে আছি, তাই যা করি ট্যুরিজমকে মাথায় রেখে করতে চেয়েছি। তাই পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নতুন ধরনের এই রিসোর্টের চিন্তা মাথায় আসে। এ জন্য একটি বিমান দরকার ছিলো। তাই ডাবলিন, কর্ক আর শ্যানন এয়ারপোর্টে যোগাযোগ করি। প্রথম দুটি এয়ারপোর্ট সাড়া দেয়নি। শ্যানন কর্তৃপক্ষ বললো, তাদের কাছে একটি পুরনো বিমান আছে তবে সেটি বেশ বড়। আমি বললাম, আমি ওখানে না যাওয়া পর্যন্ত বিমানটি হাত ছাড়া করবেন না। এরপর এগিয়ে চললো আমার আকাঙ্ক্ষা।’

সত্যি টাকা থাকলে কতো শখই যে পূরণ করা যায়!