এতদিন শুনেছি সুপারমুন আর ব্লু মুন’-এর কথা। এবার এলো ‘স্ট্রবেরি মুন’! তাও পাক্কা ৪৯ বছর পর! আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু করে পুরো এক সপ্তাহ জুড়ে দেখা দেবে সে আমাদের।
নামটা আমরা অনেকেই নতুন শুনলেও বিষয়টা কিন্তু ততটা নতুন নয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে ‘সামার সলস্টাইস’ (Summer Solstice)। জুন মাসের এই দিনটি থেকে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে শুরু হয় গ্রীষ্মকাল। দিন ছোট হয়। রাত বড় হতে শুরু করে একটু একটু করে।
১৯৬৭ সালের ২২ জুন প্রথম সামার সলস্টাইস আর পূর্ণিমা একই দিনে ঘটার ব্যাপারটি পর্যবেক্ষণ করেন বিজ্ঞানীরা। এরপর আজ হতে যাচ্ছে সেই ‘স্ট্রবেরি মুন’।
অবশ্য নাম স্ট্রবেরি মুন হলেও রঙটা কিন্তু ঠিক স্ট্রবেরির মতো লাল বা গোলাপি নয়। আলগন্গুইন উপজাতিরা মনে করত জুনের এই পূর্ণিমার দিনটি থেকে স্ট্রবেরি ফল পাকতে শুরু করে। সেখান থেকেই এই চাঁদের নাম হয়ে ওঠে স্ট্রবেরি মুন।
এই চাঁদের আরও তিনটি নাম আছে। রোজ মুন, হট মুন বা হানি মুন। এই দিন সূর্য থাকে সবচেয়ে ওপরে। তার ফলে ঘন বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে সূর্যের আলো যাওয়ার সময় তার রঙ হয় অ্যাম্বারের মতো। তাই একে বলা হয় হানি মুন।
গত দিন দুয়েক ধরেই সামাজিক মাধ্যমগুলো পূর্ণিমার চাঁদের জ্যোৎস্নার ঝলকানিতে মুগ্ধ হচ্ছে। এবারে মনে হয় সেই রহস্যের কিছুটা সমাধান হলো।
তবে স্ট্রবেরি মুন যতটা দেখার দেখে নিন। এবার মিস হলে আবার এটি দেখার সুযোগ হবে ৪৬ বছর পর, ২০৬২ সালের ২১ জুন।