দক্ষিণ কোরিয়ায় শিপিং ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে পুনর্গঠন কর্মসূচি চলছে। সরকার এতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কর্মসূচিটির কারণে দেশটির ব্যাংকিং খাতে মন্দঋণের প্রকোপ বাড়ছে। সিউল ভিত্তিক একটি আর্থিক পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকগুলোয় মন্দঋণের আকার গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। খবর সিনহুয়া।
ফিনান্সিয়াল সুপারভাইজরি সার্ভিসের (এফএসএস) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চের শেষ নাগাদ স্থানীয় ব্যাংকগুলোর নন-পারফর্মিং ঋণের আকার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ ৩০ হাজার কোটি উন (২ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার)। গত তিন মাসে এ ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি উন।
২০১৫ সালের মার্চের পর এক বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় মন্দঋণের হিসাবে যোগ হয়েছে আরো ৬ লাখ ৬০ হাজার কোটি উন। ২০০১ সালের পর এ ঋণের এতো প্রবৃদ্ধি আর কখনো দেখা যায়নি। সে সময় ব্যাংকগুলোর মন্দঋণের আকার ছিল ৩৮ লাখ ১০ হাজার উন।
মোট ঋণের কত শতাংশ তিন মাসের বেশি সময় ধরে বকেয়া রয়েছে, তা পরিমাপ করা হয় সাব-স্ট্যান্ডার্ড রেশিওর মাধ্যমে। মার্চ শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় এ অনুপাত ছিল ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্র (১ দশমিক ৫৪ শতাংশ) ও জাপানের (১ দশমিক ৫৩ শতাংশ) তুলনায় এ হার অনেক বেশি।বণিক বার্তা।