Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভারতকে হারানোর মজা অন্য রকম : তামিম

download (15)প্রতিবেশী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ একটু বাড়তি উন্মাদনাই তৈরি করে বাংলাদেশের সমর্থকদের মধ্যে। ক্রিকেটবিশ্বে ভারতের নাক উঁচু ভাবের কারণেই হোক অথবা রাজনৈতিক নানা সমীকরণের কারণেই হোক, ভারতের বিপক্ষে জয় পেলে উল্লাসের সীমা থাকে না বাংলাদেশের সমর্থকদের। শুধু সমর্থক নয়, ভারতের বিপক্ষে জয় পেলে বিশেষ অনুভূতি হয় বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবালেরও। টিম ইন্ডিয়াকে হারানোর মজা অন্য রকম বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের এই তারকা ব্যাটসম্যান।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ভক্তদের নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তামিম। সেখানে একজন প্রশ্ন করেছিলেন তাঁর প্রিয় প্রতিপক্ষ নিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবার বিপক্ষে একই রকম মনোভাব নিয়ে খেলেন জানালেও ভারতের বিপক্ষে জয়ের মজাটা অন্য রকম বলে স্বীকার করেছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘ভারত এমন একটা দল, যাদের সঙ্গে খেলতে আমরা সবাই পছন্দ করি। একটা আলাদা চ্যালেঞ্জ থাকে। ওদের সঙ্গে যদি আমরা জিততে পারি, সেটারও মজা একটু অন্য রকম। আমি নিশ্চিত যে, আপনারাও একটু ভিন্ন অনুভূতি পান যখন আমরা ভারতকে হারাতে পারি।’

chardike-ad

ভারতের বিপক্ষে জয়ের সেই আনন্দে মেতে ওঠার সুযোগ অবশ্য বাংলাদেশ খুব কমই পেয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩২টি ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র পাঁচটিতে। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম জয়টা এসেছিল ওয়ানডে সিরিজে। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ের পেছনে তামিমও রেখেছিলেন দারুণ ভূমিকা। খেলেছিলেন ৫১ রানের ঝলমলে ইনিংস। ২০১২ সালের এশিয়া কাপেও বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়েছিল তামিমের দারুণ ব্যাটিংয়ে ভর করে। ২৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

আর গত বছর বাংলাদেশের সর্বশেষ দুটি জয় এসেছে মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে। অভিষেক সিরিজেই দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। বাংলাদেশও ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জিতেছিল ওয়ানডে সিরিজ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অবশ্য এখনো ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।

ভারতের বিপক্ষে আরো দুটি ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে। সেগুলো মনে করলে অবশ্য বারবার আক্ষেপই করতে হবে বাংলাদেশের সমর্থকদের। প্রথমটি ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে। আম্পায়ারিং বিতর্কের বলি হয়ে সেবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। দ্বিতীয়টি ঠিক এক বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এবার জয়ের দোরগোরায় এসেও মাত্র ১ রানের হতাশাজনক হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তামিমদের।