Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উত্তর কোরিয়ার ৩টি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা

উত্তর কোরিয়া স্বল্প ও মধ্যম পাল্লার তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার সকালে উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হোয়াংজু থেকে জাপান সাগর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র তিনটি ছোড়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৬টা থেকে পৌনে ৭টার মধ্যে জাপান সাগরে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া।

chardike-ad

ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। এমন ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরনগরী বুসানসহ দেশটির অনেক স্থানেই আঘাত হানতে পারবে উত্তর কোরিয়া।

image_160847_0

যুক্তরাষ্ট্র জানায়, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপিত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে দুটি স্বল্প পাল্লার ‘স্কাড’। আর তৃতীয়টি ছিলো মধ্যম পাল্লার ‘রোডং’।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। এমন ক্ষেপণাস্ত্র তাদের জন্য হুমকির নয়।

সম্প্রতি বিতর্কিত একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার একমত হওয়ার পর থেকেই চটেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতারা। ওই খবরের পরদিনই ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। তবে দক্ষিণ কোরিয়া ওই পরীক্ষাকে ব্যর্থ দাবি করে। এর পর সোমবারের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া ‘দ্য টার্মিনাল হাই অ্যালটিচিউড অ্যারে ডিফেন্স’ (টিএইচএএডি) নামক বিতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপনে একমত হওয়ার ঘোষণা দেয়।

উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে টিএইচএএডি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের আলোচনা শুরু করে দুই দেশ। টিএইচএএডি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত এবং ধ্বংস করতে পারবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া পরিকল্পনার বিরোধিতা করে চীন জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি রাডারের কারণে এ অঞ্চলের দেশগুলোর নিরাপত্তার বিষয়গুলো হুমকির মুখে পড়বে।

চলতি বছরই আণবিক বোমাসহ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ওপর কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। আর সম্প্রতি উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন এবং দেশটির অপর ১০ শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।