Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ক্যামেরনের বিদায়, বুধবার যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন টেরেসা

2016-07-12_3_871304যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন টেরেসা মে। ডেভিড ক্যামেরনের উত্তরসূরি হওয়ার দৌড় থেকে সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রিয়া লিডসম সরে দাঁড়ানোর ফলে টেরেসার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেল।

অ্যান্ড্রিয়া লিডসমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে ডেভিড ক্যামেরনের পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মেই হচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বসছেন দেশের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯০-এর ২২ নভেম্বর পদত্যাগ করেছিলেন দেশের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার। তার পর দু’দশক পেরিয়ে গেছে। আর কোনও মহিলা প্রধানমন্ত্রী পায়নি ব্রিটেন। এ বার টেরেসা সেই সুযোগই পেতে চলেছেন।

chardike-ad

এদিকে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন বলেছেন, আগামীকাল বুধবারই পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বের পর রানির কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করবেন তিনি।

১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে এক বিবৃতিতে ক্যামেরন বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় আমরা একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছি।

গত ২৩ জুন অনুষ্ঠিত গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় যাওয়ার পরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সেপ্টেম্বরে তাঁর বিদায় নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নতুন নেতা নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন হওয়ায় ক্যামেরন বুধবারই বিদায় নিচ্ছেন।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর টেরেসা মে একটি ‘উন্নততর যুক্তরাজ্য’ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন অ্যান্ড্রিয়া লিডসম। আর টেরেসা মে ইইউতে থাকার পক্ষে প্রচারণা চালান। যুক্তরাজ্যের ইইউয়ে থাকার পক্ষে প্রচার চালালেও অভিবাসী প্রশ্নে কঠোর ৫৯ বছর বয়সী টেরেসা। পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯৭ সাল থেকে এমপি ও ৬ বছর ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

শপথ নেওয়ার পরেই ইইউ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করবেন টেরেসা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বলছে, ভাবী প্রধানমন্ত্রীর সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। ওয়েস্টমিনস্টারে অবশ্য বলা হচ্ছে কাজটা ততটা কঠিন হবে না। কারণ অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বা ফ্রাসোয়াঁ ওলাঁদের মতো ইইউ নেতার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে টেরেসার।