চীনের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত শুধু হেবেই প্রদেশেই ১১১ জন নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে। বন্যার কারণে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
বিবিসি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্যায় হেবেই এবং হেনানা প্রদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টানা ভারী বৃষ্টিপাতে প্রদেশ দুটিতে হঠাত্ বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে।
শনিবার পর্যন্ত হেবেইতে অন্তত ১১৪ জন নিহত হয়েছেন, ১১১ জন নিখোঁজ এবং ৫৩ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
প্রদেশটির শিংতাই শহরেই অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার কোনো পূর্বাভাস না দেয়ায় প্রদেশটির ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী একটি সড়ক অবরোধ করে, পরে পুলিশ যেয়ে প্রতিবাদকারীদের সরিয়ে দেয়।
গ্রামবাসীরা বন্যার পূর্বাভাস না পাওয়া ও অপর্যাপ্ত উদ্ধার অভিযানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া হেবেইয়ের জিংশিং কাউন্টিতে ২৬ জন নিহত ও ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে।
হেবেইয়ের প্রতিবেশী হেনান প্রদেশ থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্যাকবলিত ৭২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ লাখ লাখ মানুষকে অর্থ সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে চীনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সিনহুয়া জানিয়েছে, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় বিদ্যু সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। টেলিযোগাযোগ ও সড়ক যোগাযোগে বড় ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
চীনের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে চলতি বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে ১৫ লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে তিন বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
