জঙ্গিবাদে তরুণদের প্ররোচিত করার অভিযোগে পিস টিভির সম্প্রচার ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে সরকার এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এ অবস্থায় ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর সদস্যরা নিজ উদ্যোগেই পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
কোয়াব সভাপতি বলেন, পিস টিভি নিয়ে আমরা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। শনিবার দুপুরেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি কোনো নির্দেশনা দেননি। তবে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, রবিবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে আমাদের জানাবেন।
তিনি বলেন, পিস টিভি নিয়ে যেহেতু বিতর্ক ওঠেছে, সেহেতু আমরা নিজ উদ্যোগেই এর সম্প্রচার বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। আমি অপারেটরদের বলে দিয়েছি এই চ্যানেল যেন আর সম্প্রচার করা না হয়। ইতোমধ্যে বহু জায়গায় পিস টিভি বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে ভারতে পিস টিভির সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। একই সাথে ডা. জাকির নায়েকের অফিস পুলিশ ঘেরাও করে রাখে। ডা. নায়েকের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও শনিবার দেশটির গণমাধ্যম খবর দেয়।
২০০৬ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পিস টিভি সম্প্রচারিত হচ্ছে। ২০১১ সালের ২২ এপ্রিল শুরু হয় পিস টিভি বাংলা চ্যানেল। বাংলা ছাড়াও বিভিন্ন ভাষায় সম্প্রচারিত হচ্ছে বিতর্কিত এ চ্যানেলটি। মুম্বাইভিত্তিক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান ‘পিস টিভি’। এটা পরিচালনা করেন ডা. জাকির নায়েক নিজেই।
এর আগে গুলশানে হামলার ঘটনায় ইসলামি চিন্তাবিদ ডা. জাকির নায়েকের উগ্রপন্থার সংযোগ খুঁজে দেখছে বাংলাদেশ। তার ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য তদন্তের মাধ্যমে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও চিন্তা করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এই দাবি করেছে।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার দেশের গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জাকির নায়েক বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। তদন্ত ছাড়া এমন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তির ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না।’