Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

হাজীগঞ্জের মানুষের কাছে তিনি হলেন ডিজিটাল অফিসার

digital officerহাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এসিল্যান্ড ওলিউজ্জামান যেনো একজন ডিজিটাল অফিসার। ইতোমধ্যে তিনি তাঁর দাপ্তরিক সকল কাজকে ডিজিটাল সেবার আওতায় নিয়ে এসেছেন। ফলে উপজেলার সকল ইউনিয়নের ভূমি অফিসসহ উপজেলা ভূমি অফিসে ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজ সুবিধাভোগীরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা নিতে পারছেন। আর এ কারণে সুবিধাভোগী অনেকে এখন এই কর্মকর্তাকে ডিজিটাল অফিসার হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। শুধু তাই নয়, এমনও প্রমাণ রয়েছে, এই কর্মকর্তার অধস্তন এক কর্মকর্তার সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে নেয়া ঘুষের টাকা তিনি উদ্যোগী হয়ে ফেরৎ দিয়েছেন।

আবার চলতি অর্থ বছরে জেলার মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলায় সর্বোচ্চ ভূমি কর আদায়ে এই কর্মকর্তা সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ওলিউজ্জামান সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে হাজীগঞ্জে যোগ দেন গত বছরের ৫ মে। মূলত সে থেকেই উপজেলা ভূমি অফিসের আমূল পরিবর্তন হতে শুরু করে। মাত্র ১টি বছরে এই অফিসটি যেনো একটি ডিজিটালাইজ্ড অফিসে রূপান্তর হয়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ, সেবাসহ যা যা প্রয়োজন তার সবই এই অফিসে হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই অফিসের সকল নথির খাতা শালু কাপড়ে বাঁধাই করা হয়েছে যা আগে ছেঁড়া নথি হিসেবে ভাবা হতো। নথি সংরক্ষণের জন্যে মূল ভবনের ছাদে একটি নতুন রুম তৈরি করা হয়েছে। এই রুমে পুরানো সকল নথি সংরক্ষণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উক্ত অফিসের সকল নথি অনলাইনে দিয়ে দেয়া হয়েছে। যে কেউ ইচ্ছে করলে উপজেলা ভূমি অফিসের পোর্টালে ঢুকে তার নিজের নথি দেখতে ও প্রিন্ট নিতে পারবেন।

chardike-ad

ওলিউজ্জামান সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে হাজীগঞ্জে যোগ দেন গত বছরের ৫ মে। মূলত সে থেকেই উপজেলা ভূমি অফিসের আমূল পরিবর্তন হতে শুরু করে। মাত্র ১টি বছরে এই অফিসটি যেনো একটি ডিজিটালাইজ্ড অফিসে রূপান্তর হয়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ, সেবাসহ যা যা প্রয়োজন তার সবই এই অফিসে হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই অফিসের সকল নথির খাতা শালু কাপড়ে বাঁধাই করা হয়েছে যা আগে ছেঁড়া নথি হিসেবে ভাবা হতো। নথি সংরক্ষণের জন্যে মূল ভবনের ছাদে একটি নতুন রুম তৈরি করা হয়েছে। এই রুমে পুরানো সকল নথি সংরক্ষণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উক্ত অফিসের সকল নথি অনলাইনে দিয়ে দেয়া হয়েছে। যে কেউ ইচ্ছে করলে উপজেলা ভূমি অফিসের পোর্টালে ঢুকে তার নিজের নথি দেখতে ও প্রিন্ট নিতে পারবেন। এমনকি ঐ সকল নথিতে ভুল থাকলে ঐ পোর্টাল থেকে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে সংশোধন করিয়ে নিতে পারবেন। নাম জারির পুরো সিস্টেমটা ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। নাম জারিতে কোনো তহশিলদার যেনো বেশি টাকা নিতে বা চাইতে না পারেন সেজন্যে ইতিমধ্যে সকল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সিটিজেন চার্টার টানিয়ে দেয়া হয়েছে।

আবার ভূমি অফিসের কেউ অতিরিক্ত টাকা নিলে তার বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকে। আর সে সিদ্ধান্ত শুধু কাগজে-কলমেই নেই, বাস্তবেও তা হয়েছে। এসিল্যান্ড ওলিউজ্জামানের হস্তক্ষেপে অফিসের সুবিধাভোগী এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে নেয়া পুরো ত্রিশ হাজার টাকা ফেরৎ দিয়েছেন অফিসের এক কর্মকর্তা। উপজেলা ভূমি অফিসে অটোমেশন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। হোল্ডিং নাম্বারসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল বাড়িঘরের ঠিকানা রয়েছে ভূমি অফিসের পোর্টালে। যে কেউ তার নিজের হোল্ডিং এখানে মিলিয়ে নিতে পারেন বা কারো হোল্ডিং মিসিং হলে তা উক্ত অফিসে তথ্য দিয়ে সংশোধন করে নিতে পারেন যার পুরো বিষয়টি পাইলট প্রকল্প হিসেবে নেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সরজমিনে এই কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, গত এক থেকে দেড় বছর আগের সেই ভবনটি এখন আর আগের মতো নেই। মূল ভবনের আমূল পরিবর্তনসহ পাশে সুবিধাভোগীদের বসার জন্যে আলাদা ভবন করা হয়েছে। এই ভবনের হেল্প ডেস্ক থেকে প্রার্থিত বিষয়টি টোকেনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট টেবিলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পুরো ভবনটি রং করা হয়েছে। ভবনে ঢুকতে উভয় পাশে নাগরিকদের সুবিধার জন্যে কি কি কাজ করা হয় এ সংক্রান্ত সিটিজেন সার্টার বোর্ড টানানো রয়েছে। ভবনের ভেতরের প্রতিটি রুম টাইলস্ করা হয়েছে। মূল ভবনে ঢুকতেই সামনের দেয়ালে রয়েছে বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে উপস্থিতি যন্ত্র। যাতে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যথাসময়ে অফিসে আগমন ও প্রস্থান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সাধারণত অফিস-আদালতে দেখা যায় নিরাপত্তার জন্যে গেটের বাইরে কিংবা সিঁড়ির মধ্যে সিসি ক্যামেরা থাকে। কিন্তু এই অফিসের প্রতিটি রুমে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যার মূল উদ্দেশ্য হলো, এ অফিসকে দালাল মুক্ত রাখা, কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী যেনো কোনো সুবিধাভোগীকে হয়রানি বা অবৈধ লেনদেন করতে না পারে। আবার কেউ দাপ্তরিক কাজ রেখে অফিসে বসে গল্প করে সময় কাটায় কিনা ইত্যাদি বিষয়ে তদারকি করার জন্যে রুমগুলোকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। আর এ সকল কাজ নিজে উদ্যোগী হয়ে করলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওলিউজ্জামান। উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, ডাকাতিয়া নদীর অবৈধ সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করে উপজেলার সকল ইউনিয়নে অবৈধ দখলে থাকা সরকারি জমি উদ্ধারে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে, যা অচিরেই পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ অভিযান চালু হবে। এতো সকল কাজ কীভাবে মাত্র ১টি বছরে করলেন -এমন প্রশ্নে ওলিউজ্জামান মুচকি হেসে বললেন, আসলে এটা আমার রাষ্ট্রীয় কাজের একটি অংশ। আমি মনে করি এটা চাকরির একটা অংশ। আর সেই ভাবনা থেকেই আমি এ সব করেছি, আর বাকি আমার সহকর্মীদের সহযোগিতা। চাঁদপুর কণ্ঠ’র সৌজন্যে