Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কাশ্মীরে সংঘর্ষ কেন থামছে না?

kashmirভারত শাসিত কাশ্মীরে গত কয়েকদিন ধরে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে সেখানে কারফিউ চলছে। এই একমাসে সেখানে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক নিহত হয়েছে।

কাশ্মীরে বিক্ষোভ-সহিংসতা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার কেন এত লম্বা সময় ধরে সেখানে টানা সহিংসতা হচ্ছে?

chardike-ad

রাজনীতির গবেষক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির সরকার রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর আলী রীয়াজ বলছেন দু’দেশের মধ্যেই এমন কিছু গোষ্ঠী রয়েছে যারা কাশ্মীর সমস্যার সমাধান চায় না।

“কারণ এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তাদের প্রভাব অব্যাহত থাকে”।

তিনি বলেন কাশ্মীরের সমস্যার সাথে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, সেখানকার কিছু জঙ্গি গোষ্ঠী এবং সামরিক বাহিনীর একটি অংশের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। আবার ভারতের মিলিটারি যে শক্তি, তার যৌক্তিকতা তৈরি করার ক্ষেত্রেও কাশ্মীরের এ পরিস্থিতি কাজে দেয়।

“ ফলে দুপক্ষেরই স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। কিন্তু সমাধানের উদ্যোগ ভারতীয়দেরই নিতে হবে কিন্তু তারা তা নিচ্ছেন না। মাঝখান থেকে কাশ্মীরের জনগণের ওপর দীর্ঘদিন ধরেই নিপীড়ন ভোগ করছে এবং তাদের মৌলিক মানবাধিকার সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে”।

এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, এপ্রিল মাসে মুখ্যমন্ত্রী মেহবুব মুফতি সাইদ যখন দায়িত্ব নেন তখন থেকেই একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

“তার সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের কি ধরনের আপসরফা হয়েছে সেটা পরিষ্কার নয়। তিনি এখন পর্যন্ত খুব নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন তাও মনে হয়না”।

পাকিস্তান এবার তার স্বাধীনতা দিবসকে ভারতের কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের উৎসর্গ করেছে , ভারত তার কঠোর সমালোচনা করেছে। এটা কি বিবাদকে আরো নতুন করে জোরালো করবে ?

জবাবে মিস্টার রীয়াজ বলেন একদিকে যখন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তারা উৎসর্গ করেছে তেমনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় বেলুচিস্তানের কথা বলেছেন যা ভারতীয়রা আগে কখনো বলেনি।

“ পরিস্থিতি যা তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক এবং এটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে।