Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যেভাবে ধরা হলো বখাটে ওবায়দুলকে

downl-3

রাজধানীতে স্কুলছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার সন্দেহভাজন হত্যাকারী ওবায়দুল খানকে ধরতে নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালায় পুলিশ। এর পর আজ বুধবার ভোররাতে ধরা হয় তাঁকে।বখাটে এই যুবককে কীভাবে ধরা হলো, তা এনটিভিকে জানিয়েছেন ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিউর রহমান।

chardike-ad

ওসি জানান, ভগ্নিপতির ছোট ভাই ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার শাখার অফিস সহকারী খুশবুর খোঁজে গতকাল বিকেলে ডোমারে যান ওবায়দুল। ওই সময় ডোমার ব্র্যাক কার্যালয়ে খুশবুকে পাননি তিনি। পরে তিনি খুশবুর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন।কথোপকথনের পর ওবায়দুলকে ধরতে কৌশলের আশ্রয় নেন খুশবু। তিনি ব্র্যাকের ডোমার শাখার অফিস সহকারী শাহাদাতকে ফোনে বিষয়টি জানান।খুশবু শাহাদাতকে বলেন, তিনি যেন ওবায়দুলকে চা পান করান এবং সঙ্গ দেন। এরপর খুশবু বীরগঞ্জ থানায় ফোন করে ওবায়দুলের অব্স্থানের বিষয়ে জানান। পরে বীরগঞ্জ থানা পুলিশ বিষয়টি ডোমার থানায় জানায়।খবর পেয়ে ঢাকার রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেনসহ একদল পুলিশ নিয়ে রাত ৮টার দিকে ডোমার ব্র্যাক কার্যালয়ে হানা দেন ডোমার থানার ওসি রাজিউর। ঘটনাস্থলে গিয়ে ওবায়দুলকে পায়নি পুলিশ । ওই সময় পুলিশ শাহাদাত ও খুশবুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর ওবায়দুলকে ধরতে রাতভর চলে অভিযান।

ভোররাতে অভিযান সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে পুলিশ। এ সুযোগে আত্মগোপনে থাকা ওবায়দুল নীলফামারী থেকে ডোমার পালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে নীলফামারী-ডোমার সড়কের খানাবাড়ী এলাকায় স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজের কাছে রিশাকে ছুরিকাঘাত করেন ওবায়দুল। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রিশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট, রোববার রিশার মৃত্যু হয়।রিশাকে ছুরিকাঘাতের পরদিন তার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। রিশার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়।