জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ হারিয়েছে রাশিয়া। ইউএনএইচআরসি বলছে, সিরিয়া ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করায় রাশিয়াকে কাউন্সিল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই কামান দেগেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
২৮ অক্টোবর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ নির্বাচনের সময় রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করেছিলো ৮৭টি মানবাধিকার সংস্থা। এরপরও ভোটে অংশ নেয় রাশিয়া।
রোববার প্রকাশ হওয়া ভোটের ফলে দেখা যায় নতুন ১৪টি দেশের মধ্যে নেই রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপ থেকে দুটি দেশ হতে পারে কাউন্সিলের সদস্য। ভোটাভুটিতে হাঙ্গেরি ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে যায় রাশিয়া।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ আসাদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে বিদ্রোহীদের দমনের নামে প্রায় তিন লাখ মানুষকে গৃহহীন করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সমালোচনা করে জাতিসংঘে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উপ পরিচালক ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কও।
ইউরোপিয়ান কমিশনের ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, এ রায় অবিশ্বাস্য। তবে সিরিয়া রাশিয়ার হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন অনেক নিরীহ মানুষ। আমরা এই প্রাণহানি মেনে নিতে পারিনা।
তবে কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুতিনের।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, সিরিয়ায় মার্কিনীরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আলেপ্পোয় অস্ত্র বিরতিও ভেঙ্গেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমি এই ষড়যন্ত্রের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করছি।
বিশ্লেষকরা বলছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এমন সিদ্ধান্তে নতুন মোড় নিল রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুতিন আসাদকেই সমর্থন দিয়ে যাবেন নাকি পিছু হটবেন তা সময়ই বলে দেবে।