Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ট্রাম্প উত্তাপ ছড়ালেও দ্বিতীয় বিতর্কে জয়ী হিলারি

usaমার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনের বিতর্কে জয় পেয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তবে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রত্যাশার বাইরে ভালো পারফর্ম করেছেন বলে জানিয়েছেন সিএনএন/ওআরসি জরিপ।

প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক পর্যবেক্ষক বা দর্শকদের দেয়া তথ্য থেকে এ ফলাফল প্রকাশ করে তারা।

chardike-ad

ফলাফল অনুসারে, ৫৭ শতাংশ পর্যবেক্ষক বলেছেন বিতর্কে হিলারি জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে ৩৪ শতাংশ ট্রাম্পের পক্ষে বলেছেন।

প্রথম বিতর্কে এই জরিপ অনুসারে ৬২ শতাংশের ভোটে জিতেছিলেন হিলারি ক্লিনটন। এবারকার পারফর্মেন্স গতবারের মতো ভালো না হলেও জয় পাওয়াটা নির্বাচনী দৌঁড়ে হিলারির শক্ত অবস্থানকেই নির্দেশ করে বলে মনে করছেন দর্শক ও বিশ্লেষকরা।

বিতর্কের ফলাফল বের করার সময় দর্শক-পর্যবেক্ষকদের বিতর্ক-পূর্ব পছন্দও বিশ্লেষণ করা হয়। বিতর্ক শেষে ৫৭ শতাংশের সমর্থন পেলেও শুরু হওয়ার আগে এদের ৫৮ শতাংশই বলেছিলেন তারা হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে।

সোমবার অনুষ্ঠিত এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, স্বামীর সঙ্গে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত নারীদের ওপর হিলারি নিজের স্বার্থ রক্ষায় আক্রমণ চালিয়েছেন এবং তাদের মিথ্যেবাদী প্রমাণ করার জন্য সবকিছু করেছেন। একই সঙ্গে ই-মেইল কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে হিলারিকে জেলে পাঠাবেন।

বিতর্কের শুরুতে ২০০৫ সালে নারীদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্যের ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় ক্ষমা চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এটাও বলেন, বিল ক্লিনটনের কুকর্মের কাছে তিনি কিছুই না।

অন্যদিকে ট্রাম্পের বিতর্কিত ভিডিও ও অডিও সাক্ষাৎকার নিয়ে আলোচনা শুরু করেন হিলারি। বলেন, এসব সাক্ষাৎকারই বলে দেয় ট্রাম্প আসলে কেমন মানুষ। হিলারি বলেন, নারীদের নিয়ে এসব অপমানজনক মন্তব্যই প্রমাণ করে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন। তবে ই-মেইল কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে আবারও দুঃখ প্রকাশ করেন হিলারি।

নব্বই মিনিটের বিতর্কে রাজনৈতিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্য বীমা ইস্যুর পাশাপাশি রাশিয়া-সিরিয়া এবং ইরাক যুদ্ধের কথাও উঠে আসে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন বিষয়ে হিলারির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আবারও সিরিয়া-ইরাক এবং লিবিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান নিয়ে হিলারিকেই ট্রাম্প দায়ী করেন। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদিই হবে হিলারির মূল লক্ষ্য বলে ট্রাম্পের জবাবে জানান হিলারি। আর জঙ্গিবাদ দমনে দু’জনই নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম শরণার্থী নিয়েও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন দু’জনে।

বাংলাদেশ সময় আগামী ২০ অক্টোবর সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তৃতীয় এবং শেষ প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হবে।