Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ট্রেনে চড়ে দুই দিনে মঙ্গলে!

পৃথিবী থেকে মঙ্গলগ্রহে যেতে হলে বর্তমান প্রযুক্তিতে তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগবে। তবে নতুন একটি মহাকাশযানের ধারণা এই সময়কে চ্যালেঞ্জ করছে। সোলার এক্সপ্রেস নামে একটি মহাকাশ রেলগাড়ির ধারণা দিয়েছেন ইমেজিনেক্টিভ এর প্রতিষ্ঠাতা চার্লস বোম্বার্ডিয়ার।

তিনি বলছেন, এ ধরনের একটি রেলগাড়িতে করে পৃথিবীতে থেকে মঙ্গলে মানুষ পাঠাতে বা মালামাল নিতে দুই দিনেরও কম সময় লাগবে।

chardike-ad

বোম্বার্ডিয়েরের টিম দাবি করছে, তাদের ধারণার ট্রেনটি আলোর গতির ১ শতাংশ গতিতে চলবে। অর্থাৎ আলোর গতি যদি সেকেন্ডে ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৮২ মাইল হয় তাহলে মহাকাশ ট্রেনটির গতি হবে সেকেন্ডে ১ হাজার ৮৬২ মাইল।

বর্তমানে মহাকাশ ভ্রমণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। তাছাড়া এ ধরনের ইঞ্জিনের দক্ষতাও সন্তোষজনক নয়, ফলে অনেক শক্তি অপচয় হয়।mars

কিন্তু সোলার এক্সপ্রেস এই জ্বালানির অপচয় রোধ করবে মহাকাশ যানের ত্বরণ ও মন্দনের সমস্যা দূর করে। কারণ এই স্পেস ট্রেন কখনোই থামবে না, একবার চালু হলে নিরবচ্ছিন্নভাবে সামনে পেছনে আসা যাওয়া করবে। এর ভেতরে একটি ছোট্ট ক্যাসুলের মধ্যে থাকবে আরোহী অথবা মালামাল।

বোম্বার্ডিয়ের বলছেন, এই রেলগাড়ি যখন এর কাঙ্ক্ষিত বেগে পৌঁছাবে তখন জ্বালানি খরচ সর্বনিম্ন হবে। সোলার এক্সপ্রেস ধারণার মূল বিষয়ই এটি। এই ট্রেন কখনোই থামবে না বরং স্পেস ওয়াগন বা ক্যাপসুলটি এর ভেতরে যাওয়া আসা করবে।

স্পেস ট্রেনটি এর ভরবেগ পাবে প্রথম উৎক্ষেপণের সময়ই যে গতি দেয়া হবে সেখান থেকে। এবং এরপর সেটি আংশিকভাবে নির্ভরশীল থাকবে মহকর্ষ বলের ওপর। এটিই এর জ্বালানি খরচ কমিয়ে দেবে।

তাত্ত্বিকভাবে এই মহাকাশ যান সৌর বিদ্যুৎ এবং অন্যকোনো মহাজাগতিক বস্তু থেকে পানি সংগ্রহ করতে পারবে যা আরোহীরা ব্যবহার করতে পারবে এবং একই সাথে সেটি জ্বালানিতেও রূপান্তরিত করতে পারবে।

তবে এটি এখন পর্যন্ত একটি ধারণামাত্র। এখনো এ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণার দরকার আছে।

প্রসঙ্গত, ইমেজিন্যাক্টিভ (Imaginactive) হলো একটি অলাভজনক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যারা ব্যতিক্রমী উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে।