Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বৃটেনকে ১০ লাখ পাউন্ড ঘুষ দিতে চেয়েছিল উত্তর কোরিয়া

flag-pins-england-north-korea

বৃটেনের পারমাণবিক কর্মকান্ড বিষয়ক গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নেয়ার জন্য টোপ ফেলেছিল উত্তর কোরিয়া। এ জন্য তারা বৃটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মকর্তা বা নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাদের হাতে নেয়ার জন্য ১০ লাখ পাউন্ড ঘুষ দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। লন্ডনে নিয়োজিত উত্তর কোরিয়ার সাবেক ডেপুটি এম্বাসেডর থাই ইয়াং-হো এসব কথা বলেছেন। তিনি কিছুদিন আগে নিজের দেশের পক্ষ ত্যাগ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন সানডে এক্সপ্রেস।

chardike-ad

থাই ইয়াং-হো বলেছেন, পিয়ংইয়ং থেকে তার ওপর অসম্ভাব্য ওই কাজটি করতে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল, তিনি যেন পারমাণনিক কর্মসূচি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে বৃটিশ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বাগে আনেন। এর বিনিময়ে ১০ লাখ পাউন্ড ঘুষ দেয়ার টোপ দেয়া হয়। উত্তর কোরিয়ার ওই সাবেক রাষ্ট্রদূত দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা ও বৃটিশ সাংবাদিকদের কাছে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, তাকে ওই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল দুই বছর আগে। পিয়ংইয়ং থেকে যখন একবার কোনো নির্দেশ দেয়া হয় নেতা কিম জং-উনের পক্ষ থেকে তা অবশ্যই মান্য করতে হয়।

উল্লেখ্য, স্বপক্ষ ত্যাগী এই কূটনীতিকের পরিবারের রয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে সম্পর্ক। তিনি লন্ডনে অবস্থান করেন প্রায় ৪ বছর। ওদিকে উত্তর কোরিয়া তার সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল (এসএলবিএম) প্রযুক্তিতে বেশ এগিয়ে গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা এটি। এ বছর আগস্ট মাসে সফলতার সঙ্গে পানির নিচে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন ওই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্টা ১০০০ কিলোমিটার। এটি জাপানে গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি দেশটি যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন একই সঙ্গে তারা সাবমেরিন কর্মসূচিতেও উন্নতি করার চেষ্টা করছে। এ জন্য তারা ওই ঘুষ দিয়ে পারমাণবিক প্রযুক্তি চুরি করার চেষ্টা করেছে। সাবেক ডেপুটি এম্বাসেডর থাই ইয়াং-হো’র ওপর এ জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়।

উত্তর কোরিয়ার একজন সিনিয়র জেনারেল তাকে বলেন, যদি এক্ষেত্রে তিনি ব্যর্থ হন তাহলে দেশে উদীয়মান তারকার খ্যাতি পাবেন না তিনি। এর ফলে তার কূটনৈতিক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটবে। এক পর্যায়ে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা প্রধান তাকে বৃটিশ কর্মকর্তাদের স্বপক্ষ ত্যাগের জন্য চেষ্টা করার নির্দেশ দেন। কিন্তু থাই ইয়াং-হো তা করেন নি। তিনি উল্টো নিজেই স্বপক্ষ ত্যাগ করে বসেন। তিনি তার আগে পিয়ংইয়ংকে জানিয়ে দেন যে, বৃটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে বিপথে নেয়া খুব কঠিন। এটা অসম্ভবও হতে পারে। তাকে দেয়া এ নির্দেশের সঙ্গে তিনি এক রকম লড়াই করেন ৬ মাস। মানবজমিন।