মিরপুর টেস্টের শুরুতেই ইমরুল কায়েসের উইকেট খুঁইয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছিল টস জয়ী বাংলাদেশ। কিন্তু তামিম ইকবাল ও মমিনুল হকের ১৭০ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কাটা সামলে নেয় মুশফিক বাহিনী। তামিম-মমিনুলের ব্যাটিংয়ে ভর করে বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন দেখছিল টাইগাররা।
এ পথে তামিম সেঞ্চুরি ও মমিনুল তুলে নেন ফিফটি। দলীয় ১৭১ রানে মঈন আলীর বলে ১০৪ রানে তামিম এবং ৬৬ রানে মমিনুল বোল্ড হয়ে ফিরে গেলে আবারো চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। দলীয় ১৯০ রানে ফেরেন মমিনুল।
ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের মুখে তামিম-মমিনুলের পর ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেনি কেউই। মাত্র ৩০ রানের মধ্যে একে একে আটজন ব্যাটসম্যান ফিরে যান সাজঘরে।
১৯০/৩ এ থাকা বাংলাদেশ অলআউট ২২০ রানেই। আর এ যাত্রা শুরু মাহমুদুল্লাহর উইকেট দিয়ে। স্টোকসের বলে কুকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৩ রানে ফেরেন তিনি। এর পর ক্রিজে এসে থিতু হওয়ার আগেই মঈন আলির বলে আবারো কুকের হাতে ক্যাচে পরিণত হন মুশফিক (৪)।
সাব্বির ফেরেন শূন্য রানে। তাকে ফেরান স্টোকস। শুভাগতর উইকেট নেন ক্রিস ওকস। তিনি করেন ৬ রান। ১ রানের গেড়ো খুলতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসের মতো এবারো তিনি ফিরে যান ১ রান করেই। আর এতোক্ষণ ক্রিজের অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিল দেখতে থাকা সাকিব আউট হন ওকসের বলে বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে। সাকিব করেন ১০ রান।
আর টাইগারদের ইনিংস শেষ হয় মঈনের বলে কামরুল ইসলাম রাব্বী স্লিপে ক্যাচ আউট হলে। শেষ পর্যন্ত ৫ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে গেছেন তাইজুল।
ইংল্যান্ডের বোলিংয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন মঈন আলি। তিনি একাই শিকার করেছেন ৫ উইকেট। ইংল্যান্ডের বাইরে এটি তার প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার। বাকিগুলোর মধ্যে ক্রিস ওকস ৩টি ও বেন স্টোকস নিয়েছেন ২টি উইকেট।