Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দ. কোরিয়ার সান্তা ক্লজদের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এই দিনে খ্রিস্টান ধর্মালম্বীরা সৃষ্টিকর্তার কাছে সুখ-সমৃদ্ধি-শান্তি কামনা করে থাকেন। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার হাজার হাজার নাগরিক সান্তা ক্লজের পোশাক পরে এবার চাইলেন অন্য কিছু। গতকাল রবিবার রাজধানী সিউলে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট পার্ক এর অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেছেন। খবর ইয়নহাপ।

chardike-ad

উৎসবীয় আমেজের এই প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রেসিডেন্ট পার্কের বিরুদ্ধে নবম সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ পালিত হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্টের দুর্নীতির ঘটনায় অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত নিশ্চিত করতে হবে। এতে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। বিক্ষোভকারীরা তাৎক্ষণিক প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ দাবি করেছেন।

প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজকরা জানায়, সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি জনগণ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সাংবিধানিক আদালত অভিমুখে বিক্ষোভ পালন করেছেন। তবে পুলিশের কাছে সংখ্যার ব্যাপারে তথ্য ছিল না।

বিক্ষোভকারীরা ‘পার্ককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করো’ বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তারা ক্রিসমাসের গান পরিবর্তন করে পার্ককে নিয়ে রচিত প্যারোডি গান গেয়েছেন।

ইয়ুন কি সাং নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘এবারের বড়দিন আমাদের জন্য বিশেষ কিছু। আমি আমার সন্তানদের শেখানো সুযোগ পাচ্ছি গণতন্ত্র সম্পর্কে।’ এ সময় তার ছেলে ও মেয়ে বিক্ষোভের ব্যানার উঁচু করে তুলে ধরেছিলেন।

সান্তা ক্লজের পোশাক পরিহিত পার্ক চ্যানস নামে ২৫ বছর বয়সী এক অফিস কর্মী জানান, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের কৈফিয়ত দিতে বাধ্য করা।

‘আমি আশা করি, আসছে নতুন বছরে দক্ষিণ কোরিয়া তরুণদের বসবাসের জন্য আরও উৎকৃষ্ট দেশ হবে।’

দুশো থেকে তিনশ তরুণ-তরুণী সান্তা ক্লজের পোশাক পরে বিক্ষোভস্থল থেকে শিশুদের বই এবং ক্রিসমাস কার্ড বিতরণ করেন। এ সময় তাদের বলতে শোনা যায়, ‘শিশুদের উপহার দিন এবং পার্ককে হাতকড়া পরান।’

প্রেসিডেন্ট পার্ক গুন হের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার দীর্ঘদিনের বন্ধু ছোয়ে সুন-সিল সরকারের বিভিন্ন কৌশল নির্ধারণে মধ্যস্থতা করেছেন এবং প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্র ধরে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন। ছোয়ে সুন-সিলের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ মামলা চলছে।