Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অপর্যাপ্ত ঘুমে কমে যায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা

sleeping

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে এর কারণ। খবর সায়েন্স ডেইলি।

chardike-ad

গবেষণার ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম পর্যাপ্ত হলেই মানবদেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সবচেয়ে ভালো কাজ করে। এজন্য প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে গিয়ে ১১ জোড়া যমজ ভাইবোনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন বিশেষজ্ঞরা। এদের মধ্যে প্রত্যেক জোড়ার সবকিছু একই রকম হলেও ঘুমের অভ্যাস ছিল ভিন্ন প্রকৃতির। পরবর্তীতে এদের রক্ত পরীক্ষায় পাওয়া ফলের ভিত্তিতে এ গবেষণাপত্র তৈরি করা হয়, যার ফল ছাপা হয়েছে ‘স্লিপ’ জার্নালে।

গবেষণাপত্রের মূল লেখক সিয়াটলভিত্তিক হারবারভিউ মেডিকেল সেন্টারের ইউডব্লিউ মেডিসিন স্লিপ সেন্টারের সহপরিচালক ডা. নাথানিয়েল ওয়াটসন বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো, শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার পেতে হলে ঘুমও পর্যাপ্ত হতে হবে। ন্যূনতম মাত্রায় হলেও দেহের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আমাদের পরামর্শ হলো, প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে ঘুমানো।’

উল্লিখিত গবেষণার একটি অনন্য দিক হলো, এর মাধ্যমে মানবদেহের ঘুমের পর্যাপ্ততা নির্ণায়ক জিনে প্রভাব নিরূপণে প্রথমবারের মতো যমজ ভাইবোনদের ওপর পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, ঘুমের মাত্রা নির্ধারণে জেনেটিকসের ভূমিকা থাকে ৩১-৫৫ শতাংশ। নির্ধারক অবশিষ্ট ভূমিকা রাখে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আচরণ ও প্রতিবেশগত উপাদান।

অন্যদিকে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতায় ঘুমের প্রভাব প্রসঙ্গে ডা. ওয়াটসন বলেন, ‘আগের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে টিকা নেয়া সত্ত্বেও দেহের অ্যান্টিবডির প্রতিরোধক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে। অন্যদিকে তাদের রাইনোভাইরাসে (মানবশরীরে সাধারণভাবে উপস্থিত ভাইরাস এজেন্ট, যা সাধারণ সর্দিকাশির কারণ) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে বেশি। গবেষণায় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধে ঘুমের ইতিবাচক প্রভাবের দিকটিই উঠে এসেছে।’