Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মুসলিম বিশ্ব, সঙ্কটে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র

151208082807-02-trump-1207-large-169

সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পর ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিমানবন্দরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

chardike-ad

মিশরের এক বিমান বন্দরে কমপক্ষে সাতজন ইরাক ও ইয়েমেন থেকে আসা লোককে বৈধ ভিসা থাকা সত্বেও আমেরিকাগামী বিমানে উঠতে দেয়া হয়নি।

ট্রাম্পের আদেশের পর ওই সাতটি দেশের নাগরিকরা যদি যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি বা ‘গ্রিন কার্ড’ ধারীও হন – তারাও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে থাকলে আর সেদেশে ঢুকতে পারবেন না।

নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর সহ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিমান বন্দরে কয়েকজন লোককে আটক করার পর কয়েকজন মার্কিন আইনজীবী নতুন বিধিনিষেধগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

এর মধ্যে আছেন দু’জন ইরাকি শরণার্থী – যাদের একজন আবার মার্কিন বাহিনীর পক্ষে দোভাষী হিসেবে কাজ করেছেন।

এন আই এল সি নামে একটি আইনী প্রতিষ্ঠান বলেছে, তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও স্বরাষ্ট্র দফতরের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছেন।

সিরিয়া, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেন ও সুদান -এই সাতটি দেশের নাগরিকদের আগামী তিন মাস কোনো ভিসাও দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।

ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান গুগল তাদের ভ্রমণরত কিছু কর্মীকে অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসতে বলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করার পর গুগল বলছে, তাদের প্রায় শ’খানেক কর্মী এর শিকার হতে পারে, এবং আদেশটি কার্যকর হবার আগেই তাদেরকেআমেরিকায় ফিরে আসতে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিবিসিকে বলেছে, তারা এই নিষেধাজ্ঞা সাথে সাথে বাস্তবায়ন শুরুর জন্য কাজ করছে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ‘পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত’ সিরিয়ান শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করেন।

এ ছাড়াও ইরান, ইরাক, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও সুদান – এই ৬টি মুসলিম-প্রধান দেশ থেকে আসা লোকদের ভিসা দেয়া তিন মাসের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ‘উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসীদের আমেরিকায় ঢোকা’ বন্ধ করতেই এ পদক্ষেপ।

কিন্তু ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ প্রায় সাথে সাথেই রাজনীতিবিদ এবং শরণার্থী সংস্থাগুলোর সমালোচনার সম্মুখীন হয়। সমালোচক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে ভয়াবহ সঙ্কটের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বিশ্বকে। কেননা, এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকার প্রতি মুসলমানদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হবে আরো ভয়াবহ।

বিবিসি অবলম্বনে