Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শাওনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মাহির!

mahi-shaon-jugantor_14690_1464704495_38443_1486035150
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার বন্ধু শাহরিয়ার ইসলাম শাওনের বিয়ে হয়েছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহরাব মিয়া।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৫ মে কাজী মো. সালাউদ্দিন ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে শাওন ও মাহির বিয়ে সম্পন্ন হয়। ভলিউম নং ১৮৬/১৫, পৃষ্ঠা ৬৫-তে এ বিয়ের রেজিস্ট্রার করা হয়েছে এবং তদন্ত কর্মকর্তা এ বিয়ের রেজিস্টার জব্দ করে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
এসআই সোহরাব বলেন, শাওন ও মাহির বিয়ের কাগজপত্র আমি নিজেই জব্দ করেছি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ মে সিলেটের ব্যবসায়ী অপুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মাহি। বিয়ের একদিনের মাথায় বেরিয়ে আসে আগেও একবার বিয়ে করেছিলেন মাহি। শাহরিয়ার ইসলাম শাওন মাহির স্বামী দাবি করে তাদের (শাওন-মাহি) অন্তরঙ্গ ও বিয়ের কিছু ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন। পরে ২৮ মে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন নায়িকা মাহি।
চলচ্চিত্র জগতে মাহিয়া মাহি বলে পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম শারমিন আক্তার নিপা। মামলায় তিনি বাদী হিসেবে প্রকৃত নামটি ব্যবহার করেছেন।
তিনি মামলায় অভিযোগ করেন, শাওন নামে এক যুবক ফেসবুকে তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি আপলোড করেছে। এতে করে তার সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে শাহরিয়ার ছাড়া তার কয়েকজন বন্ধুও জড়িত বলে তার ধারণা। বিয়ে ভেঙে দেয়ার উদ্দেশ্যে এসব ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
মামলাটি ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) সেলের কাছে স্থানান্তর করা হয়। ২৯ মে মাহির প্রথম স্বামী পরিচয় দেয়া শাওনকে দক্ষিণ বাড্ডার বাসা থেকে গ্রেফতার করে সিটি ইউনিট।
পরে তাকে আদালতে হাজির করে দু’দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। মিন্টো রোডে সিটি ইউনিটের কার্যালয়ে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরে ওই বছরের ৫ জুন মাহির বাবা ও শাওনের বাবার মধ্যে একটি আপসনামা হয়। ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে মাহির উত্তরার বাসায় উভয় পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে ওই আপসনামা সই হয়।
পরে মাহির স্বামী দাবিদার শাওনকে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম জামিন দেন। আদালতে দুইজনের পক্ষ থেকে আপস-মীমাংসার কথা বলা হলে জামিন পান শাওন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদে শাওন জানিয়েছেন, তারা একসঙ্গে উত্তরায় স্কুলে পড়তেন। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০১৫ সালের ১৫ মে বাড্ডার কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। শাওন বিয়ের কাগজপত্রও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিগুলো ফেসবুকে স্ত্রী মাহির অনুমতি নিয়েই আপলোড করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগে কখনও মাহির আপত্তি ছিল না।