বাংলা ভাষার মাস ফেব্রুয়ারীতে প্রথমবারের মত সিউলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব। সিউলের কোরিয়ান আর্কাইভস ফিল্মে এই উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে এম এন্ড এম ইন্টারন্যাশনাল। ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারী দুইদিনব্যাপী এই আয়োজনে বাংলাদেশের ৬টি এবং কোরিয়ার ১টি সিনেমা দেখানো হবে।
২৫ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২টা ১০মিনিটে বান্ধবী দিয়ে শুরু হবে বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবের যাত্রা। দিনের দ্বিতীয় শো’তে একসাথে প্রয়াত ইমাম লি অভিনীত কন্টেইনার এবং জালালের গল্প প্রদর্শিত হবে দুপুর আড়াইটায়। উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং দিনের শেষ চলচিত্র হিসেবে সন্ধ্যা ছয়টায় প্রদর্শিত হবে আয়নাবাজি। দ্বিতীয় এবং সমাপনি দিনে প্রদর্শিত হবে দুপুর ১২টা ১০মিনিটে টেলিভিশন, দুপুর ২টা ২০ মিনিটে অজ্ঞাতনামা এবং বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আন্ডারকন্সট্রাকশন।
প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবকে সফল করার লক্ষ্যে সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছে আয়োজকরা। এম এন্ড এম ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক এবং চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজক মাহবুব আলম বাংলা টেলিগ্রাফকে বলেন “আমরা বাংলা ভাষা এবং বাংলা চলচিত্রকে ছড়িয়ে দিতে প্রথমবারের মত এই আয়োজন করতে যাচ্ছি। আমরা কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে প্রচুর সাড়া পেয়েছি। কোরিয়ানরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রবাসীদের সুবিধার্তে আমরা ছুটির দিনে উৎসবটির ব্যবস্থা করেছি। আমাদের অনুরোধ থাকবে আপনারা হলে এসে সিনেমা দেখুন। শুধু একটি সিনেমা দেখার জন্য নয়, বাংলাকে ছড়িয়ে দেওয়ায় জন্য উৎসবে অংশীদার হতেই চলচ্চিত্র উৎসবে আসুন”।
প্রতিটি সিনেমার জন্য ১২০টি করে আসন রেখেছে আয়োজকরা। শুধু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরের সিনেমাতে ৭০টি আসনের ব্যবস্থা থাকবে। সিনেমা আসন সংরক্ষণের জন্য অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ফেসবুকে sbff2017 সার্চ দিলে উৎসবের অফিশিয়াল পেইজ পাওয়া যাবে। এই পেইজে প্রত্যেক সিনেমার জন্য আলাদা আলাদা ইভেন্ট করা হয়েছে। সেখানে নিজের নাম এবং এলাকার নাম লিখে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। ২০ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে রেজিস্ট্রশন করতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। কোরিয়ান ফিল্ম আর্কাইভসের পাশাপাশি বাংলাদেশ দূতাবাসসহ কমিউনিটি সংগঠনগুলো চলচিত্র উৎসবটির সহযোগী হিসেবে থাকছে।
