Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

১২৭টি দেশে রফতানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ

medicine

বর্তমানে বাংলাদেশের উত্পাদিত ওষুধ বিশ্বের ১২৭টি দেশে রফতানি হচ্ছে। অথচ স্বাধীনতার পরপর দেশের ৭০ শতাংশ ওষুধের চাহিদা পূরণ হতো বিদেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে। গতকাল সকালে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী নবম ‘এশিয়া ফার্মা এক্সপো ২০১৭’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

chardike-ad

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ঠিক পরে আমরা ৭০ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতাম। কিন্তু এখন দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে বিশ্বের ১২৭টি দেশে বাংলাদেশে উত্পাদিত মানসম্মত ওষুধ রফতানি হচ্ছে। বাংলাদেশের এ অগ্রগতি অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত সরকার। ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর জন্য সরকার কাজ করবে, যেন উদ্যোক্তারা ভালো মানের ওষুধ তৈরি করে আরো বেশি দেশে রফতানি করতে পারেন।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প এখন মানসম্মত পর্যায়ে চলে এসেছে। দেশে তৈরি ওষুধের মান আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এখন বাংলাদেশকে রফতানির দিকে নজর দিতে হবে। আর রফতানির জন্য একটি শক্ত ভিত্তি গড়তে হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘ওষুধ শিল্পে রফতানি বাড়াতে হলে বিদেশ থেকে আনা কাঁচামালের ওপর ডিউটি ফি কমাতে হবে। আমরা চাইলেই যেকোনো দেশে ওষুধ রফতানি করতে পারি না। ওই দেশে নির্দিষ্ট ওষুধ ও কোম্পানির নাম রেজিস্ট্রেশনের পরই কেবল আমরা রফতানি করতে পারি। এসব সমস্যা সমাধানে আমাদের ও সরকারকে আরো কাজ করতে হবে।’

এবারের এক্সপোয় বিশ্বের ৮০টি দেশের চার শতাধিক ওষুধ কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। ওষুধ রফতানিতে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিদেশী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে বিনিয়োগে আহ্বান করে। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেক দেশই বাংলাদেশে যৌথ মালিনাকানায় ওষুধ তৈরিতে এগিয়ে আসছে।