Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন শুরু

চীনের তীব্র উদ্বেগ উপেক্ষা করে দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (থাড) স্থাপন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে উত্তর কোরিয়ার ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরই এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হল।

টার্মিনাল হাই অ্যালটিচিউড এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম (থাড) এমন একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে থাকা অবস্থায় সেটিকে ভূপাতিত করতে সক্ষম। এটি ২০০ কিলোমিটার দূরত্বে এবং ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় কাজ করতে পারে।

chardike-ad

এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যাটারি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। পুরো ব্যবস্থার কিছু অংশ সিউলে পৌঁছেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের দাবি অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষ নাগাদ পুরো ব্যবস্থাটি কার্যকর করা সম্ভব হবে।

এর আগে গুয়াম এবং হাওয়াই দ্বীপে থাড স্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেসময় উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হামলার কারণে এটি স্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এবারও দক্ষিণ কোরিয়ায় এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের পেছনে একই যুক্তি দিয়েছে দেশটি।

কিন্তু মার্কিন প্রশাসনের এ যুক্তি মানতে নারাজ উত্তর কোরিয়া ও চীন। এ উদ্যোগের সমালোচনা করেছে  ‍দুদেশই। চীন এ উদ্যোগকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জোরপূর্বক যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির একটি অংশ বিবেচনা করছে।

শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথেই ধ্বংস করবে থাড
শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথেই ধ্বংস করবে থাড

প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ মার্চ) সকালে উত্তর কোরিয়া-চীন সীমান্তের নিকটবর্তী তংচ্যাং-রি অঞ্চল থেকে জাপান সাগরে পর পর ৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। দেশটির মতে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।

পরীক্ষাকৃত ক্ষেপণাস্ত্রের ৩টি প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকায় (ইইজেড) গিয়ে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জাপান।

চলমান দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়াকে নিজেদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি কিম জং-উন প্রশাসন চলমান সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারন করে। মহড়া বন্ধ না হলে কড়া জবাব দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এর পরপরই দেশটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সিরিজ পরীক্ষা চালাল। যার জবাবে থাড স্থাপন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিল যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া।

সূত্র: বিবিসি ও এনবিসি নিউজ