Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইরানের নির্বাচনে অর্থনীতিই মূল ইস্যু

ইরানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো প্রভাবকের ভূমিকা রাখবে। বিশেষত ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণুবিষয়ক চুক্তি এবং দেশটির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জনমতকে প্রভাবিত করবে। খবর এপি ও ব্লুমবার্গ।

chardike-ad

১৯ মের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের বক্তব্য এবং জনমত জরিপে পরমাণু চুক্তি ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কথা বারবার উঠে আসছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। মোট ছয়জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখন পর্যন্ত জনমত জরিপে হাসান রুহানি এগিয়ে রয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের সাফল্য তুলে ধরতে হাসান রুহানি ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তির কথা উল্লেখ করছেন। উত্তরাঞ্চলীয় শহর কাজভিনে এক জনসভায় তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে প্রার্থীরা স্বাধীনতা ও শান্তি অথবা এসবের বিপরীত কিছু বেছে নেবেন।

হাসান রুহানির সমর্থকরা ইরানের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের সাফল্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। তারা বলছেন, পরমাণু চুক্তির পর থেকে ইরানে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ এসেছে।

হাসান রুহানির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও ২০১৫ সালের চুক্তির কথা বলছেন। তবে তারা এ চুক্তির অর্থনৈতিক ব্যর্থতার দিকটিই তুলে ধরতে চাইছেন।

অন্যতম প্রার্থী মোস্তাফা মীরসালিম তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি ব্যর্থ হয়েছে। এ চুক্তি ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির উন্নতি ঘটাতেও চুক্তিটি ব্যর্থ হয়েছে।

রক্ষণশীল প্রার্থী মোস্তাফা মীরসালিম বলেন, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রয়েছে। বরং কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরো তীব্র হয়েছে।

হাসান রুহানির আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী এব্রাহিম রইসি ‘আত্মমর্যাদা ও কর্মসংস্থানের’ সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

হাসান রুহানির পক্ষের ভোটারদের মধ্যেও তার অর্থনৈতিক সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। টরন্টোভিত্তিক ইরানপোলের এক জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭২ শতাংশই ইরানের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিষয়ে অনুকূল মত পোষণ করেছেন। তবে তাদের মতে, পরমাণু চুক্তিটি সাধারণ ইরানিদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক জাভাদ সালেহী-ইসফাহানি ইরানের অর্থনীতিসংক্রান্ত একটি ব্লগ সম্পাদনা করেন। তিনি জানান, সবশেষ তথ্য অনুযায়ী রুহানির দায়িত্বকালের প্রথম বছরে ইরানে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। কারণ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি দারিদ্র্যবান্ধব ছিল না।