রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে।
সাময়িক বরখাস্তের দীর্ঘ ২৩ মাস পর আদালতের রায় হাতে নিয়ে রোববার সকাল ১০টার দিকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে নগর ভবনে যান তিনি।
কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন তার কক্ষ তালাবদ্ধ। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও প্রবেশ করতে না পেরে ওই কক্ষের পাশে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে বসেন তিনি।
এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শরীফ উদ্দিন উপস্থিত থাকলেও তিনি মেয়রের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে কোনো উদ্যোগ নেননি। পরে মেয়র বুলবুল গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
মেয়র বুলবুল বলেন, আদালতের রায় হাতে নিয়েই তিনি দায়িত্ব নিতে এসেছেন। কিন্তু এসে দেখেন তার কক্ষ তালাবদ্ধ। তবে তিনি যেহেতু ভোটে নির্বাচিত এবং আদালতের রায়ে দায়িত্ব ফিরে পেয়েছেন, সেহেতু লিখিতভাবে কোনো আনুষ্ঠানিকতার দরকার নেই। তিনি এমনিতেই মেয়র।
এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেয়র রাসিকের সচিবের কক্ষে গিয়ে বসেন। এ সময় বিএনপিপন্থী কাউন্সিলরদের তোপের মুখে পড়েন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। কাউন্সিলরদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, কে বা কারা মেয়রের কক্ষে তালা দিয়ে গেছে তিনি জানেন না।
এদিকে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে রোববার সকাল থেকেই উত্তেজনা চলছিল নগর ভবনে। সকালে নগর ভবনের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা যায়। তবে নগর ভবনে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম-উল-আযীমকে দেখা যায়নি।
মেয়র বুলবুল দুদিন আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন। রোববার বেলা ১১টায় সেটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নগর ভবনে গিয়ে এমন পরিস্থিতি দেখে তিনি সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেছেন।
গত ২০১৫ সালে ৭ মে সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ উচ্চ আদালত তার বরখাস্ত আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন।
গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মাহমুদুল আলমের সই করা চিঠিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপরই রোববার দায়িত্ব নিতে নগর ভবনে যান মেয়র বুলবুল।
