কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে কমপক্ষে ২০৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে। দেশটির পুতুমায়ো প্রদেশের রাজধানী মোকোয়াতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতভর প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ওই এলাকার নদীরগুলোর পানি বেড়ে যায়। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাদা-পানি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে নদীগুলোর দুই কূলের ঘরবাড়ি। নদীর আশপাশের বাড়ির ছাদ পর্যন্ত কাদায় ডুবে গেছে। ভেসে গেছে নদীর ওপর থাকা সেতুগুলো।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল স্যান্তোস শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, ওই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সেনাবাহিনী উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমার ও কলম্বিয়াবাসীর হৃদয় এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে রয়েছে।”
আহতদের চিকিৎসা দিতে স্থানীয় হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে বলে জানানো হয় বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়, উদ্ধারকাজে এক হাজার ১০০ জনের বেশি সেনা ও পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই অঞ্চলের ৮০ শতাংশ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। আর যেখানে রাস্তা শেষ, সেখান থেকে ঘটনাস্থলে যেতে সময় লাগে তিন ঘণ্টা।
মোকোয়া শহরের মেয়র হোসে অ্যান্তোনিও ক্যাস্ত্রো জানান, শহরটি আধুনিক কলম্বিয়া থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন। সেখানে বিদ্যুৎ ও পানিরও কোনো ব্যাবস্থা ছিল না।
পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে ভূমিধসের ঘটনা একেবারে নতুন নয়। এর আগে কলম্বিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ পেরুতে ভূমিধসে ৯০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। -সংবাদমাধ্যম