একমাত্র বিদেশী আকাশসেবা সংস্থা হিসেবে উত্তর কোরিয়ায় নিয়মিত বাণিজ্যিক উড্ডয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে এয়ার চায়না। তবে আগামীকাল থেকে উত্তর কোরিয়ার উড্ডয়ন কর্মসূচি স্থগিত করবে সংস্থাটি। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন সিসিটিভি শুক্রবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানায়। খবর এএফপি।
২০০৮ সালে প্রথম উত্তর কোরিয়ায় কার্যক্রম শুরু করে এয়ার চায়না। চীনা সংস্থাটি সপ্তাহে তিনদিন দেশটিতে উড্ডয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করলেও অপর্যাপ্ত যাত্রীসংখ্যা ও শীতকালে চাহিদা কম থাকায় ফ্লাইট বুকিং বাতিলসহ অন্যান্য মৌসুমি সমন্বয়ের কারণে প্রায়ই এয়ার চায়নাকে ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। এদিকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা কেসিএনবি জানায়, শুক্রবার দেশটির সামরিক বাহিনী যেকোনো ধরনের মার্কিন উস্কানির কড়া জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করে।
সেই সঙ্গে গতকাল উত্তর কোরিয়ার জাতির জনক কিম ইন সুংয়ের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী পালন করার লক্ষ্যে ষষ্ঠ দফা পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সম্ভাবনা দেখা দেয়। পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র-বিষয়ক তত্পরতা কেন্দ্র করেই বর্তমানে উত্তর কোরিয়ায় ফ্লাইট স্থগিত করেছে এয়ার চায়না।
সিসিটিভি জানায়, বেইজিং-পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যকার সর্বশেষ ফ্লাইট শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিংয়ে অবতরণ করে। তবে স্থগিতাদেশের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সিসিটিভি। এদিকে এয়ার চায়না কার্যক্রম বন্ধ করায় উত্তর কোরিয়ার যাবতীয় উড্ডয়ন কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্ব রাষ্ট্রায়ত্ত আকাশসেবা সংস্থা এয়ার কোরিয়ার ওপর বর্তেছে।
এদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও কয়লা ক্রয়ের ওপর চীনা স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও প্রথম প্রান্তিকে উত্তর কোরিয়া থেকে চীনের আমদানির পরিমাণ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বছরের প্রথম তিন মাসে দেশটি থেকে ৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে চীন, যা বছরওয়ারি হিসাবে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর কোরিয়া থেকে কয়লা আমদানি নিষিদ্ধ করেছে চীনা সরকার।