অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী পারমাণবিক ক্ষমতাধর উত্তর কোরিয়ার বেপরোয়া গতি থামাতে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর থাকা চীনের প্রভাবকে কাজে লাগানোর আহবান জানিয়ে মঙ্গলবার বলেছেন, ক্রমবর্ধমান এ সংকট ক্যানবেরার অবস্থানকে আরো শক্ত করছে।
উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ব্যর্থ হওয়ার পর এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রাক্কালে ম্যালকম টার্নবুল এমন কথা বললেন। আঞ্চলিক নিরাপত্তার ব্যাপারে ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত দিতে পেন্স এশিয়া সফরে রয়েছেন।
ক্যানবেরায় টার্নবুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তর কোরীয় সরকারের অপরিণামদর্শী বিভিন্ন পদক্ষেপ সারাবিশ্বের পাশাপাশি আমাদের অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি।’
এক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়ার ওপর ব্যাপক প্রভাব থাকায় পিয়ংইয়ংয়ের লাগাম টেনে ধরতে বেইজিং অনেকটাই সক্ষম হতে পারে। এ ব্যাপারে তাদের দায়ও রয়েছে। ফলে চীনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে আমরা সেটি দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ হলেও চীনের সাথে অস্ট্রেলিয়ার একটি ভাল সম্পর্ক রয়েছে। বেইজিং হচ্ছে ক্যানবেরার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার লাগাম টেনে ধরতে আরো পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে বেইজিং অনেক চাপের মুখে রয়েছে। বিশেষকরে এ ব্যাপারে তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অনেক চাপ রয়েছে।
তবে সীমান্ত দিয়ে শরণার্থীর ঢল চীনে ঢুকে পড়ার আশংকায় এক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নাটকীয় কোন পদক্ষেপ গ্রহণের বিরোধী বেইজিং।