কোরীয় উপসাগরে মার্কিন রণতরী মোতায়েনের জবাবে উত্তর কোরিয়া ‘শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী’ ব্যবহার করে আত্মরক্ষা করবে বলে জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে তাদের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।
উত্তর কোরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এই রণতরী মোতায়েন হস্তক্ষেপের বেপরোয়া মনোভাব প্রকাশ করে, যা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক কমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে নিজেদের প্রস্তুতি প্রমাণেই তারা রণতরী মোতায়েন করেছে। এর আগে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র একাই লড়াই করতে প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইতিমধ্যে উত্তর কোরিয়ার প্রতি বৈরী অপর দুই দেশ- দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন জানিয়েছে, আবারো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হলে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবে তারা।
কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন সেনাবাহিনীর পাঠানো কার্ল ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপ নামের ওই রণতরীতে রয়েছে একটি বিমানবাহী জাহাজসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ। এটা প্রথমে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও পরে রাস্তা পরিবর্তন করে সিঙ্গাপুর থেকে প্যাসিফিকের পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রা করে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে কোনো বিপর্যয় সৃষ্টি হলে আমরা তাদের জবাব দেব। যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো ধরনের যুদ্ধের জবাব দিতে উত্তর কোরিয়া প্রস্তুত।’
প্রসঙ্গত, এর আগে মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ড জানায়, তাদের রণতরীটি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে কোরীয় উপদ্বীপের দিকে যাচ্ছে। পূর্ণ যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়েই সেটি যাচ্ছে বলেও তারা জানায়। প্যাসিফিক কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উত্তর কোরিয়া ক্রমাগত দায়িত্বহীনভাবে পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বাড়ানোর ঝুঁকি মোকাবিলার জন্যই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
তবে কিম জং-উন প্রশাসন বরাবরই দাবি করে আসছে, তাদের সামরিক উদ্যোগ মার্কিন আগ্রাসন থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে। আর শুধুমাত্র সামরিক সক্ষমতাই পারে একটি দেশকে এরকম ‘একতরফা আগ্রাসন’ থেকে সুরক্ষা দিতে।
সূত্র: বিবিসি