Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

হাসিনা- মোদি বৈঠকে ৩৬ চুক্তি সই

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩৬ টি চুক্তিতে সই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর তারা এসব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

chardike-ad

বিচার সংক্রান্ত, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, লাইন অব ক্রেডিট, উপকূলীয় অঞ্চলে নৌ চলাচল সংক্রান্ত চারটি সমঝোতা স্মারক বিনিময় হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীর হিন্দি সংস্করণ উন্মোচন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে দেন। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সোনালী অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে বলে উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদি। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাকে ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দুদেশের মধ্যে বিরল-রাধিকাপুর রুটে মালামাল পরিবহনকারী রেল চলাচল, খুলনা-কোলকাতা রুটে যাত্রীবাহী বাস ও রেল চলাচল,ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লিতে অবস্থানকারী বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান, শনিবার দুপুর নাগাদ মোট ৩৪টি চুক্তি সই হয়েছে। ২২টি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের আর ১২টি ব্যবসা সংক্রান্ত। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছেন নরেন্দ্র মোদি। শনিবার বিকালে মহান মু্ক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৭ শহীদ ভারতীয় সেনা পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননাপত্র প্রদান করবেন।

এর আগে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে দিল্লিতে পালাম স্টেশন বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রটোকল ভেঙে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে স্বাগত জানান। প্রটোকল অনুযায়ী, ভারতের ভারি শিল্প, পাবলিক অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়া এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে যান।