Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

২৫ এপ্রিল নিয়ে সতর্ক দক্ষিণ কোরিয়া

North-South-Korea

২৫ এপ্রিল উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর ৮৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সামনে রেখে সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দিবসটি উপলক্ষে পিয়ংইয়ং ভয়ঙ্কর কিছু করতে পারে বলে আশঙ্কা সিউলের। কোরীয় উপদ্বীপে চলমান উত্তেজনা নিরসনে সব ধরনের সহযোগিতার পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে চীন।

chardike-ad

এদিকে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে, দেশটিকে বিশ্বাস করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং-এর জন্মবার্ষিকী উদযাপনের ক’দিন যেতে না যেতেই এবার সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পিয়ংইয়ং। মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় উদযাপন কর্মসূচির আগে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার পাল্টাপাল্টি সামরিক মহড়াকে কেন্দ্র করে নতুন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজেদের সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে বেল জানিয়েছে দক্ষিণ কোরীয় পুনরেকত্রীকরণ মন্ত্রণালয়।

দক্ষিণ কোরীয় পুনরেকত্রীকরণ দপ্তরের মুখপাত্র লি ডাক হায়েং বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়া অব্যাহত রেখেছি। পিয়ংইয়ং বিষয়টিকে সহজভাবে না নিয়ে তারাও সীমান্তে সামরিক সমাবেশ ঘটিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছে।’

চলমান উত্তেজনা নিরসনে অবদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র চীনের প্রশংসা করতে গিয়ে কোরিয়া এক সময় চীনের অংশ ছিলো বলে মন্তব্য করায়, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সিউল।

এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা নিরসনে চীনা প্রচেষ্টার প্রশংসা করায়, সন্তোষ প্রকাশ করেছে বেইজিং। কোরিয়া ইস্যুতে চীনের ইতিবাচক পদক্ষেপ বুঝতে পারায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানায় চীনা পররাষ্ট্র দপ্তর।

চীনা পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেন, ‘কোরীয় সমস্যা সমাধানে চীনের শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেখতে পাচ্ছে। উত্তর কোরিয়া বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর গভীর আলোচনা হয়েছে। আশা করি যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সঠিক পদক্ষেপ নেবে।’

চীন বরাবরই আলোচনার মাধ্যমে কোরীয় সঙ্কট সমাধানের কথা বললেও, উত্তর কোরিয়াকে বিশ্বাস করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া একের পর এক উস্কানিমূলক আচরণ করে যাচ্ছে। তারা বার বার যুক্তরাষ্ট্রে হামলার হুমকি দিয়ে আমাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাচ্ছে। তারা অতীতে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার কোনোটিই পালন করেনি। আর তাই তাদের কোনো কথাই এখন আর বিশ্বাসযোগ্য নয়।’

সম্প্রতি জাপান সাগরে উত্তর কোরিয়ার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও উচ্চশক্তি সম্পন্ন রকেট ইঞ্জিনের পরীক্ষা চালানোর পর, ওই অঞ্চলে রণতরী পাঠানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে উত্তর কোরিয়া তার প্রতিষ্ঠাতার জন্মবার্ষিকীতে ষষ্ঠ বারের মতো পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে উল্লেখ করে, পিয়ংইয়ং-এর বিরুদ্ধে হামলার হুমকি দেয় ওয়াশিংটন। উত্তর কোরিয়াও যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানোর পাল্টা হুমকি দিয়ে আসছে।

এর মধ্যেই কোরীয় উপদ্বীপে চীনের বোমারু বিমান ও সীমান্তের কাছে রুশ সামরিক বাহিনী মোতায়েনের খবরও প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে। পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটন চলমান বাগযুদ্ধের পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্র দেশগুলোর পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়।